শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

শেবাচিম ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন পরীক্ষা বন্ধ

৪৯ লাখ টাকার বিল বকেয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

৪৮ লাখ ৮৬ হাজার ২২৫ টাকার বিল বকেয়া থাকায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ওজোপাডিকো বরিশাল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের একটি দল মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এর ফলে মেডিকেল কলেজ ভবনে থাকা আরটি পিসিআর ল্যাবসহ প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। নিয়মিত রিপোর্ট দিতে না পাড়ায় করোনার জাতীয় রিপোর্টও বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন আরটি পিসিআর ল্যাবের প্রধান ডা. আকবর কবীর। ওজোপাডিকো বরিশাল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন জানান, শের-ই বাংলা মেডিকেল এবং কলেজের জন্য পৃথক দুটি মিটার রয়েছে। মেডিকেলের মিটারে বকেয়া ৬১ লাখের বিপরীতে সম্প্রতি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কলেজের কাছে বকেয়া ৪৮ লাখ ৮৬ হাজার ২২৫ টাকা পরিশোধের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা। বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া থাকায় মেডিকেল কলেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিল পরিশোধ করলে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হবে।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান সহকারী অধপক ডা. এ কে এম আকবর কবীর বলেন, কোনো পূর্ব নোটিস ছাড়াই মেডিকেল কলেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় আরটি পিসিআর ল্যাবটিও বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন বিভাগের পথলজিকল পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। পিসিআর ল্যাব বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রেরিত করোনার নমুনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। বরিশালের পিসিআর ল্যাব বন্ধ থাকায় করোনার নমুনা পরীক্ষার জাতীয় রিপোর্টও বিঘ্নিত হবে বলে আশঙ্কা তার।

মেডিকেল কলেজের অধক্ষ প্রফেসর ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জুন মাসে কেন্দ্রীয় দফতর থেকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের টাকা বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওজোপাডিকোর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে প্রত্যাশা করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর