শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে এডিস মশার ৫৭ হটস্পট

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে এডিস মশা উৎপাদনের ৫৭টি হটস্পট (রেড জোন) চিহ্নিত করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে চসিক হটস্পট চিহ্নিত করে। চিহ্নিত হটস্পটসহ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে চসিক ১০০ দিনের বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রামও শুরু করেছে। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো ড্রোন দিয়ে মনিটরিং করা হবে ছাদবাগান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে পরিচালিত হবে অভিযান।

জানা যায়, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চসিক ‘নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মশার ব্রিডিং পয়েন্ট চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক একটি জরিপ পরিচালনা করে। ইতোমধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৭টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে চসিকের হাতে ১৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড ও দুই হাজার লিটার লার্ভিসাইড ওষুধ মজুদ আছে। বর্তমানে পরিচ্ছন্ন বিভাগে স্প্রে মেশিন আছে ২০০টি, ফগার মেশিন আছে ১২০টি ও মশক নিধনে জনবল আছেন ৩৬০ জন। চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে চসিক নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রথমবারের মতো ড্রোন দিয়ে নগরের বাসাবাড়ির ছাদবাগান মনিটরিং করা হবে। একই সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবেন।

তাছাড়া, সচেতনতায় চলছে তিনটি অটোরিকশা দিয়ে নিয়মিত মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, ওয়ার্ড পর্যায়ে মিটিং ও আবাসিক কল্যাণ সমিতিকে চিঠি দিয়ে প্রদান করা হয়। আগামী পাঁচ মাস নগরে ছিটানোর মতো ওষুধ মজুদ আছে।

চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশকনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহী বলেন, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডকে চারটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে তিন দিন পর পর কীটনাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এ কর্মসূচি আগামী এক মাস চলবে। প্রয়োজনের নিরিখে বেশি দিনও চলতে পারে। তবে মশা নিয়ন্ত্রণে কেবল ওষুধ নয়, ‘আমার বাড়ির আঙিনা আমিই পরিষ্কার রাখব’ এই নীতি আমাদের সবাইকেই অবলম্বন করতে হবে। নিজের সচেতনতা এবং চসিকের ওষুধের সমন্বয়ে আমরা ডেঙ্গু মুক্ত নগর গড়তে পারব।

জানা যায়, চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয় এবং আক্রান্ত হয় ৩৪০ জন। কেবল চলতি জুন মাসেই আক্রান্ত হন ১২৭ জন এবং মারা যান চারজন। গত জানুয়ারি মাসে আক্রান্ত হয় ৭৭ জন। এর মধ্যে নগরে ৫৬ জন ও ১৫ উপজেলায় ২১ জন। এ মাসে মারা যান তিনজন। গত ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত হয় ২২ জন। এর মধ্যে নগরে ১১ জন ও ১৫ উপজেলায় ১১ জন। গত মার্চে আক্রান্ত হয় ১২ জন। এর মধ্যে নগরে সাতজন ও ১৫ উপজেলায় পাঁচজন। গত এপ্রিলে আক্রান্ত হয় ১৮ জন। এর মধ্যে নগরে ১৩ জন ও উপজেলায় ১৩ জন। গত মে মাসে আক্রান্ত হয় ৫৩ জন। এর মধ্যে নগরে ৩২ জন ও ১৫ উপজেলায় ২১ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর