শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

দলবল নিয়ে প্রবাসীকে হত্যা ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুন্সীগঞ্জে প্রবাসী মো. শ্যামল বেপারীকে ১৫-২০ জনের একটি দল নিয়ে ঘরে ঢুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেন শাহাদাত বেপারী। পরে গুলি করে ও ককটেল বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন তারা। রাজধানীর কারওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এর আগে এ ঘটনায় বুধবার রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-১১ এবং র‌্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন শাহাদাত বেপারী, তার ছেলে মহিউদ্দিন বেপারী এবং হায়াতুন ইসলাম।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ১৪ জুন রাতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্র-ধারালো অস্ত্র নিয়ে শ্যামলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেন শাহাদাত বেপারী এবং তার সহযোগীরা। এলাকায় ট্রলারঘাটের ইজারা, নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, আধিপত্য বিস্তার এবং জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে শ্যামলের আত্মীয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের বিরোধ চলছিল। পাঁচ-ছয় মাস আগে শ্যামলের আত্মীয়ের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিষয় এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাহাদাতের বাগবিতন্ডা হয়। এর জেরে শ্যামলের সঙ্গেও বাগবিতন্ডা হয় শাহাদাতের।

ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারের ফার্মেসিতে শ্যামলের ভাইদের কুপিয়ে জখম করে শাহাদাত ও তার লোকজন। ওই ঘটনায় শ্যামল বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় শাহাদাত, তার ছেলে মহিউদ্দিনসহ অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান শাহাদাত। কিন্তু মহিউদ্দিন ও শাহাদাতের এক সহযোগী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। পরে তারা আদালতে জামিন পান। আত্মগোপনে থাকাকালে শ্যামলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শাহাদাত। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই তারা আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও ধারালো অস্ত্র সংগ্রহে রাখেন।

 

র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, ১৪ জুন রাত দেড়টার দিকে লোকজন নিয়ে শ্যামলের বাড়ি চারদিক থেকে ঘেরাও করে হামলা চালান শাহাদাত ও তার লোকজন। ঘরে ঢুকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শ্যামলকে হত্যা করেন তারা। ঘটনার পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে চাকরি করতেন শ্যামল। দেশে ফিরে ২০১০ সালে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য একটি দেশে যান। ২০২২ সালের জুলাইয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর