সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

খুলনায় হাটে ক্রেতা কম, মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় বিভিন্ন উপজেলা ও শহরতলিতে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট। মাঝারি আকারের গরু কিনতে হাটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ডুমুরিয়ার খর্নিয়া, আঠারোমাইল, শাহপুর, তেরখাদার ইখড়ি বাজার, খানজাহান আলী থানার পথের বাজার, রূপসা, দীঘলিয়ার হাটে গরুর জমজমাট কেনাবেচা চলছে। তবে মহানগরীতে সবচেয়ে বড় জোড়াগেট পশুর হাটে এখনো ক্রেতা কম। গত বছর এই হাটে গরু বিক্রি হয় ৪ হাজার ৯১৩টি এবং ছাগল বিক্রি হয় ১ হাজার ৮১১টি। হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শহরের বাসিন্দাদের গরু-ছাগল কিনে বাড়িতে রাখার মতো জায়গা নেই।

এ কারণে শহর এলাকায় ঈদের এক বা দুই দিন আগে গরু ছাগল কেনেন ক্রেতারা।

এদিকে শহরতলির হাটগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার হাটে ছোট ও মাঝারি গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। ১০-১২ মণ ওজনের বড় গরু তেমন বিক্রি হচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার পশুর দাম চড়া।

খুলনা-তেরখাদা সড়কের পাশে তেরখাদার ইখড়ি গরু-ছাগলের হাটে দেখা যায়- তিল ধারণের জায়গা নেই। গ্রামের সুস্থ সবল গরু কিনতে অনেকে এই হাটে ভিড় করেন। ব্যবসায়ী আবদুর রহিম শেখ জানান, এসব গরু মোটাতাজাকরণ ওষুধ ছাড়া খামারিরা বড় করেছেন। দাম তুলনামূলক বেশি হলেও দেশি গরু কিনতে এতদূর এসেছি।

ডুমুরিয়ার খর্নিয়া হাটে দেখা যায়, মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। পাইকগাছা থেকে পাঁচটি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন হায়দার আলী। এর মধ্যে তিনটি মাঝারি ও দুটি বড় গরু। মাঝারি গরু তিনটি বিক্রি হয়ে গেছে। বড় গরু দুটির দরদাম হয়েছে কিন্তু এখনো বিক্রি হয়নি। তিনি বলেন, বড় গরুর চাহিদা কম। হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ বড় গরু কিনছেন। হাট ইজারাদারের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান জানান, এ বছর গরুর দাম বেশি হওয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। বিক্রিও গত বছরের তুলনায় কম।

সর্বশেষ খবর