পবিত্র ঈদুল আজহা উৎসবমুখর ও নিরাপদে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কোরবানির পশুর হাটগুলোর ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ঢাকা মহানগরীর সব বিপণিবিতান, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তির টাকা লেনদেন এবং পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থার পাশাপাশি লঞ্চ ও বাস টার্মিনালকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঈদুল আজহার ছুটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। রবিবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সই করা এক পত্রে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, নিজস্ব প্রতিষ্ঠান/আবাসন/অ্যাপার্টমেন্ট/বিপণিবিতানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি জোরদার এবং যে কোনো ধরনের অবৈধ প্রবেশ রোধে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা। সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি তদারক করার জন্য মার্কেট মালিক সমিতি/ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তদারকি কমিটি করে ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন। দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যক্তিগত প্রাক-পরিচিতি পুলিশের মাধ্যমে যাচাই করার ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠান/বিপণিবিতান/ আবাসনকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা/ কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রাখা, যাতে তারা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে পারেন।

সিসি ক্যামেরার ক্ষেত্রে ধারণ করা ভিডিও হার্ডডিস্কে ঠিকমতো রেকর্ড হচ্ছে কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা। দায়িত্বরত গার্ড এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে কাছাকাছি থানা, সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মোবাইল এবং ল্যান্ডফোনের নম্বর রাখা, যাতে যে কোনো দুর্ঘটনা/অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি হলে দ্রুত পুলিশকে জানানো যায়।