মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা : র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। গতকাল দুপুরে গাবতলী কোরবানির পশুর হাট ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। পরবর্তীতে বিকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, খাবারের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম একটি রেস্টুরেন্ট ও পাঁচ ব্যক্তিকে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে রেস্টুরেন্টটিকেই ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় যাত্রীদের রীতিমতো জিম্মি করে রাখার অভিযোগ রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়েও এ দৃশ্য দেখা গেছে।

রেলস্টেশনের আশপাশের ফুড শপগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে যাত্রী হয়রানির জন্য সিএনজিচালকদের জরিমানা করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে ওই এলাকায় আদালত পরিচালনা করা হবে।

এর আগে গাবতলীতে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনলাইনে অনেকে পশু কেনাবেচা করেন। এই অনলাইনে পশু কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য র‌্যাবের সাইবার টিম কাজ করছে। বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। যারা অনলাইনে পশু বেচাকেনায় প্রতারণা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বেশ কিছু অনলাইন পশু কেনাবেচার পেইজ শনাক্ত করেছি, যারা কোরবানির পশু বেচাকেনা করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরবরাহ করেনি। ঈদের এখনো দুই দিন বাকি আছে। আমরা মনিটরিং করছি। এ ছাড়া পশুর হাটগুলোতে হাসিল ঘর রয়েছে। অনেকের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ এসেছে। আমাদের মোবাইল টিম রয়েছে সব হাটে, অতিরিক্ত হাসিল গ্রহণ করলে আমাদের জানালে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর হাটে প্রচুর কোরবানির পশু বেচাকেনা হয়, এই কোরবানির পশু বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে অথবা অস্বাস্থ্যকর গবাদি পশু বিক্রি করেন। এসবের বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, ভেটেনারি ডাক্তারের সমন্বয়ে র‌্যাব একটি টিম গঠন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। বিভিন্ন হাটে এই টিম পর্যবেক্ষণে যাচ্ছে। গত রবিবার রাত থেকে চলা অভিযানে প্রতারণা, ছিনতাইয়ে জড়িত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকদিনে ৫০ জনের বেশি জাল টাকার কারবারি আটক ও তাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ জাল নোট জব্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নারী ক্রেতারা অনেক সময় ভোগান্তি-হয়রানির, ইভ টিজিংয়ের শিকার হন। কেউ প্রতারিত বা ভোগান্তির শিকার হলে র‌্যাব কন্ট্রোল রুমে অভিযোগ করুন আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

খন্দকার আল মঈন বলেন, বিভিন্ন সময় পশুর চামড়ার সঠিক মূল্য পান না প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। অসাধু ব্যবসায়ী চক্র সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে। আমি তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, আমাদের গোয়েন্দা শাখার একাধিক টিম কাজ করছে। আমরা বেশ কিছু তথ্য এরই মধ্যে সংগ্রহ করেছি। চামড়া বেচাকেনা সিন্ডিকেট করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর