বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মাছ-সবজি বাজারে আগুন

কাঁচামরিচ ও আদা ৪০০ টাকা, ইলিশ ২২০০ টাকা, চিংড়ির কেজি হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

মাছ-সবজি বাজারে আগুন

বরিশালে কোরবানির আগমুহূর্তে মাছ-সবজির বাজারে আগুন লেগেছে। চিংড়ির কেজি ৯৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। কেজি সাইজের একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়। অন্যান্য মাছের দামেও আগুন লেগেছে। এদিকে বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। কয়েক দফা বেড়ে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। অন্যান্য সবজি এবং শাকের বাজারও চড়া। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে জনসাধারণের।

গতকাল বরিশালের বৃহত্তম মাছ বাজার পোর্ট রোডে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ খুচরা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। এলসি (৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) সাইজ প্রতি  কেজি ১ হাজার ৮৬০ টাকা এবং ভেলকা    সাইজ (৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম) ইলিশ    প্রতিকেজি গড়ে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তরকারিতে খাওয়ার উপযোগী চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৯ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। গুঁড়া চিংড়ি প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়। বড় চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।

এ ছাড়া স্থানীয় নদ-নদীর বেলে মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, নদীর পোয়া সাইজ ভেদে ৫৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, নদীর রূপচাঁদার কেজি ১ হাজার টাকা, রামছোছ মাছ প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাঁচ দিন আগে ১৬০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। প্রতি কেজি টমেটো ১৬০ টাকা, গাঁজর ১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা   ৮০ টাকা, ঢেঁরশ ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পটোল বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহ আগে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া  আদা গতকাল ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গতকালের বাজারে সাদা চিনি ১৪৫  টাকা এবং লাল চিনি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

নিত্যপণ্যের বাজারে একমাত্র সুখবর মুরগির বাজারে। গত ঈদের সময় ২৫০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। লেয়ার মুরগির দাম আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। নগরীর ফলপট্টির আকাশ হোটেলের মালিক মো. নুরুল ইসলাম জানান, রোজার ঈদের পর সব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।

১৫০ টাকার আদা ৪০০ টাকা, ৬০ টাকার কাঁচামরিচ ৪০০ টাকায় কিনতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিন রেস্তোরাঁ চালিয়ে লোকসান গুনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। নিত্যপণ্য মূল্যের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর