বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সিরাজগঞ্জে পানি কমছে বেড়েছে নদীভাঙন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে পানি কমছে বেড়েছে নদীভাঙন

চৌহালী উপজেলার চরসলিমাবাদে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। কয়েকদিনে এসব অঞ্চলে সহস্রাধিক বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমছে। তবে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। যমুনার ডানতীর শাহজাদপুরের পাঁচিল, এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম ও বামতীর চৌহালী উপজেলার চরসলিমাবাদে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। কয়েকদিনে এসব অঞ্চলে সহস্রাধিক বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফসলি জমি ও বসতভিটা হারিয়ে অনেকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে আরও হাজার হাজার বসতভিটা, গাছপালা ও ফসলি জমিসহ বহু প্রতিষ্ঠান। নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সময়মতো কাজ করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডও যথাযথ দায়িত্বপালন করেনি। এ কারণে ব্রাহ্মণগ্রাম ও পাঁচিল এলাকায় দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এতে শতাধিক বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

পাঁচিল গ্রামের আবদুল হালিম জানান, ১০ দিন আগেও তাদের বাড়িঘর ছিল। নদীতে সব হারিয়ে এখন পথে বসেছেন। কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থা নেই তাদের। চাল-চুলা নেই। ঈদের আনন্দ আমাদের কপালে নেই। 

চৌহালী চরসলিমাবাদের বাসিন্দা হাসান আলী জানান, ১৫ দিনে একটি গ্রামের অর্ধেক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, শুধু পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে। কিছুদিন জিওব্যাগ ফেলার পর তা বন্ধ করে দেওয়ায় কয়েকদিনেই সহস্রাধিক বসতভিটা, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামবাসী মানববন্ধন করার পর আবার জিওব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। তারপরও নদী ভাঙছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের        

উপ-সহকারী প্রকৌশলী রণজিত কুমার বলেন, নদীর পানি কমা এবং বাড়ার সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়। নদীর কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর