ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, এক মাস ধরে পেশাদার অপরাধীদের (সিঁধেল চোর, ছিনতাইকারী, মলম ও অজ্ঞানপার্টি) বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত ৬০০ জন পেশাদার অপরাধী গ্রেফতার হয়েছে। পেশাদার আসামিরা জেলে থাকলে ফাঁকা ঢাকায় চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা তেমন একটা ঘটবে না। ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন,  ঈদুল আজহায় তিন গুণ চ্যালেঞ্জ। ঈদুল ফিতরের শুধু ঘরমুখো মানুষ ছিল। এখন (ঈদুল আজহা) ঘরমুখো মানুষ আছে, উল্টো দিক থেকে গরুর গাড়ি এবং রাজশাহী ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফলবাহী গাড়ি আসছে। এ কারণে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। এর সঙ্গে আরেকটি পরিবেশ যোগ হয়েছে সেটা হচ্ছে বৃষ্টি। চতুর্মুখী চাপ থাকা সত্ত্বেও সবার সার্বিক সহযোগিতায় সবকিছু ঠিক আছে। খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ফাঁকা ঢাকাতে উঠতি বয়সের অনেক তরুণ মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের প্রতিযোগিতা করেন। এ বিষয়ে কঠোরভাবে বলা হয়েছে তারা যেন প্রতিযোগিতা না করেন। ব্যারিকেড তৈরি করে আঁকাবাঁকা (জিগজ্যাক) গতিতে গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদের পরে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হয়। এ দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে আমরা দেখেছি, ড্রাইভাররা নিয়ে বাড়িতে রেস্টে থাকেন। হেলপারদের গাড়ি দিয়ে দু-চারটা ট্রিপ মারতে বলেন। হেলপারা যখনই বাস-ট্রাক নিয়ে রাস্তায় বের হয়, তখনই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের পরে যে কদিন ড্রাইভার ছুটিতে থাকবে সে কয়দিন যেন গাড়ি বন্ধ থাকে। কোনো মতে হেলপার যেন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের না হন। পশুর হাটের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খোলা মাঠ তেমন একটা নেই। তারপরও ঢাকাবাসীর সুবিধার্থে আমাদের দুই মেয়র ২১টি পশুর হাটের ব্যবস্থা করেছেন। পশুর হাট ম্যানেজ করেই যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা সফলতার সঙ্গে তা করে যাচ্ছি। গাবতলীর হাটে পশুর জন্য গাড়ি চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। হাটের নিরাপত্তার সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করেছি। প্রতিটি হাটে হাসিল ঘরে টাকা দেওয়ার জন্য বাইরে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।