বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুমিল্লা নগরীতে ভরাট হচ্ছে শতবর্ষী নারায়ণ পুকুর

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীতে ভরাট হচ্ছে শতবর্ষী নারায়ণ পুকুর

কুমিল্লা নগরীর শতবর্ষী নারায়ণ পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার নমশূদ্রপাড়ায় এ পুকুর অবস্থিত। এর জমির পরিমাণ এক একরের বেশি। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ ও জলাধার সংরক্ষণ আইনের কোনো তোয়াক্কা না করেই নগরীর শত বছরের পুরনো পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছিল।

এনিয়ে আবু ফয়সাল রায়হান নামের এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে  এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদফতর কুমিল্লার উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব। অধিদফতরের সিনিয়র কেমিস্ট মো. রায়হান মোর্শেদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব জানান, নারায়ণ পুকুরের ৩৪ শতাংশ ভরাটের অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়েছে। জেলা পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পুকুর ভরাটের বিষয়ে অধিদফতরে অভিযোগ আসে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন গিয়ে ভরাটের সত্যতা পান পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। পুকুরের জমির মালিক দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার নমশূদ্রপাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবু ফয়সাল রায়হানকে পুকুরটি ভরাট বন্ধ করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে পরপর দুটি চিঠি দেওয়া হয়। গত ৩ এপ্রিল তাকে পরিবেশ অধিদফতর কুমিল্লা কার্যালয়ে হাজির করে দ্রুত ভরাট করা মাটি অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা করেননি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুরের বিকল্প নেই। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা নগরীর পুকুর। এ বিষয়ে প্রশাসনকে আরও কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব বলেন, ভরাটকারীদের বারবার পুকুর ভরাট বন্ধ করে মাটি সরানোর জন্য বলেছি। কিন্তু তারা কোনো নির্দেশনাই মানেননি। তাই পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে আবু ফয়সাল রায়হানকে প্রধান আসামি করে এ মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া সংরাইশের একটি পুকুর ও ঝারু পুকুর নিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। হাতি পুকুর নিয়েও মামলা দেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর