রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বর্জ্যমুক্ত চসিক ও সিসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বর্জ্যমুক্ত চসিক ও সিসিক

চট্টগ্রামে কোরবানির ঈদের দিনই বর্জ্যমুক্ত নগর পেয়েছে নগরবাসী। নগরীর সব কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ৪ হাজার ৭০০ জন সেবক আর ৩৪৫টি ট্রাক বর্জ্য অপসারণে কাজ করেছে। ফলে কোরবানি ঈদের দিনই নগরবাসী পেয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগরী।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ৮০ শতাংশ বর্জ্য দুপুর সাড়ে ৩টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। বিকাল ৫টার মধ্যে নগরীর সব কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ৪৭০০ সেবক ৩৪৫টি ট্রাক নিয়ে কাজ করেছেন। নগরীতে অনেকে দুপুর ২টার পর কোরবানি দেন, আবার কিছু এলাকায় পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা বেশ কঠিন। এসব এলাকায় এবং নগরীর সব অলি-গলিও সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে।

এ সময় মেয়রের সঙ্গে নগরীর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, তৌহিদুল হাসান, মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন রিফাত, অনিক দাশসহ চসিকের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সিলেট : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিয়েছে তারা। এ কাজের মাধ্যমে নগরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে ও বর্জ্য অপসারণের সুবিধার্থে নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল সিসিক কিন্তু নির্ধারিত স্থানে খুব কম লোকই কোরবানি দেন। বেশির ভাগ মানুষ বাসার সামনে, পাড়া-মহল্লার খোলা জায়গা ও রাস্তায় পশু কোরবানি দেন। এতে কোরবানির পর বর্জ্যরে নগরীতে পরিণত হয় সিলেট।

সিলেট সিটি করপোরেশন যে কোনো মূল্যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যত্রতত্র কোরবানি দেওয়ার কারণে বর্জ্য অপসারণ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। এরপরও ভোর রাত থেকে সিসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পরিচ্ছন্নতার কাজে নামেন। কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ দিয়ে তারা শুরু করেন কাজ। দুপুর থেকে শুরু করেন কোরবানির পশু জবাইয়ের পর পড়ে থাকা বর্জ্য অপসারণ। বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে আগে থেকেই সিসিকের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০টি পরিদর্শক টিম গঠন করা হয়। আর পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োগ করা হয় প্রায় ৩২০০ কর্মী। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য অপসারণ করে জীবাণুনাশক ওষুধ ও পানি ছিটিয়ে এলাকা পরিচ্ছন্ন করেন। সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও বিভিন্ন স্থানে গিয়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

সিসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের প্রধান হানিফুর রহমান জানান, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের আগেই নগরী থেকে  কোরবানির সবধরনের বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সন্ধ্যার আগেই বর্জ্য অপসারণ করে জীবাণুনাশক ওষুধ ও পানি ছিটিয়ে পুরো নগরী পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর