রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডিএনডি এলাকাবাসীর দুর্ভোগ মোচনে আজ মতবিনিময়

নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধ এলাকার জনদুর্ভোগ মোচনে আজ রবিবার ওই এলাকায় অভ্যন্তরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং বাঁধে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা মতবিনিময় করবেন। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তাদের কাছে গিয়ে জেনে নিয়ে যাতে দ্রুত সমাধান করা যায় সেজন্য এ উদ্যোগ নেন সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪)। ডিএনডি বাঁধের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ডিএনডি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা শুনে ত্বরিত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আজ দুপুরে অনুষ্ঠেয় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকবেন ডিএনডি এলাকাগুলোর জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় বাসিন্দা, ডিএনডি প্রকল্পের কাজে যুক্ত সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীলরা। শামীম ওসমান বলেন, বিষয়টি দেখতে ও প্রকল্পের দায়িত্বরতদের সঙ্গে রবিবার কথা বলে বিষয়টি কীভাবে দ্রুত সমাধান করা যায় তার ব্যবস্থা করব। মানুষের কষ্ট দূর করাটাই এখানে মূল লক্ষ্য। এর আগে ঈদের আগের দিন থেকে টানা বর্ষণে ডিএনডির অভ্যন্তরে সিদ্ধিরগঞ্জ, পাগলা, ফতুল্লা, কুতুবপুর, মুন্সিবাগ, শহীদবাগ, মিজমিজি, কদমতলী, কালু হাজি রোড, ধনু হাজি রোড, ফতুল্লার শান্তিধারা, গিরিধারা, জালকুড়ি, ভুইগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

এতে চরম বিপাকে পড়ে এখানকার বাসিন্দারা।

১৯৬২ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরার (ডিএনডি) মধ্যকার ৫৮.২২ বর্গকিলোমিটার জলাভূমিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে অতিরিক্ত ধান চাষ করার জন্য চারদিকে বাঁধ নিয়ে ‘ডিএনডি ইরিগেশন প্লান্ট’ তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে এ বাঁধটিই ডেমরা-নারায়ণগঞ্জ-পোস্তগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকার চারদিকে যান চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং বর্তমানে তা আরও প্রসারিত হয়েছে।

ডিএনডি এলাকাটির চারদিকে উঁচু বাঁধ। তাই পানি বের হয়ে যেতে পারে না। বাঁধের মধ্যখানের নিচু এলাকায় প্লাবিত পানি নিষ্কাশনের জন্য শিমরাইলে অবস্থিত একটিমাত্র পাম্প স্টেশন; কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এটা খুবই নগণ্য। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় ড্রেনের পানি পাম্প স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছে না। ফলত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

জাতীয় সংসদে এ সমস্যাগুলোর ওপর এমপি শামীম ওসমান একাধিকবার দৃষ্টি আকর্ষণী বক্তৃতা করায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৫৫৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ‘ডিএনডি ড্রেনেজ অ্যান্ড স্যুয়ারেজ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প’ একনেকে উপস্থাপন করে। সরকার প্রকল্পটি অনুমোদন করার পর প্রকল্প এলাকায় দখলকৃত খাল পুনরুদ্ধার করে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে অর্পণ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর