মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাল্টে যাচ্ছে খুলনা নগরী

সড়ক-ড্রেন-খাল সংস্কারের চলমান কাজ শেষ হচ্ছে ডিসেম্বরে 

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

প্রায় ১৪৩০ কোটি টাকার দুই প্রকল্পে খুলনা নগরীর সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন কাজ শেষ হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। এর বাইরে ৩৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ ছাড়া জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলায় ৪৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে খাল ও পুকুর খনন, নদী সংযুক্ত স্লুইসগেট, পাম্প স্টেশন, শহর রক্ষাবাঁধ, ড্রেন সংস্কার ও পার্কের উন্নয়ন কাজ শুরু হচ্ছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে খুলনা নগরী। নবনির্বাচিত সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে সড়ক ও ড্রেনেজ সংস্কারে ১৪০০ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে কাজ শেষ হয়নি। এখনো ২৫০-৩০০ রাস্তা, ড্রেন ও খালের কাজ চলমান রয়েছে। এই কাজগুলো শেষ হলেই খুলনার দৃশ্যপট বদলে যাবে।

জানা যায়, জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও জিওবি অর্থায়নে জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী সংযুক্ত আলুতলা আউটলেট উন্নয়ন ও লবণচরায় পাম্প স্টেশন নির্মাণ করা হবে। বাস্তুহারা খাল, নিরালা খাল, দেয়ানা চৌধুরী খালের উন্নয়ন ও বাস্তুহারা খাল সংযুক্ত ড্রেনে উন্নয়ন, শহর রক্ষাবাঁধ, রিভার ফ্রন্ট পার্ক নির্মাণ, ২৩টি পুকুর খনন ও ১টি পার্কের উন্নয়ন কাজ করা হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রুত নগরায়ণ ও শহরমুখী ক্রমবর্ধমান জলবায়ু উদ্বাস্তুদের নাগরিক সেবা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া শহরের যানজট নিরসনে ব্যস্ততম সোনাডাঙ্গা থানা মোড়, রয়েল মোড়, ময়লাপোতা মোড়, দৌলতপুর মহসিন মোড়, শান্তিধাম, ডাক বাংলা, পিকচার প্যালেসসহ ২২টি মোড়ে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এসব স্থানে সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিউটিফিকেশনের কাজও হবে।

কেসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নগরবিদ আবির-উল জব্বার জানান, টেকসই ও নান্দনিক শহর গড়ে তুলতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কেএফডব্লিউ প্রজেক্টে কনসালট্যান্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে কনসালট্যান্ট নিয়োগ হলে ডিজাইনের কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, চলমান সড়ক সংস্কার প্রকল্পে ২২টি মোড়ে বিউটিফিকেশনের কাজে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য পানির ফোয়ারা কিংবা গাছপালা লাগিয়ে শহরের মধ্যেই সবুজ প্রকৃতি গড়ে তোলা হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান ড্রেনেজ প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদীর ৮ কিলোমিটার খনন করা হচ্ছে। এর বাইরে নেদারল্যান্ডস সরকারের অর্থায়নে ময়ূর নদী খনন করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা ও দুই পাশে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ চলছে। সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন, সুন্দর, স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে চাই। এ কারণে পরিকল্পিতভাবে ধাপে ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর