মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

টানা বর্ষণে জলাবদ্ধ ময়মনসিংহ নগরী

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

টানা বর্ষণে জলাবদ্ধ ময়মনসিংহ নগরী

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ নগরের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। নগরের প্রধান সড়কগুলোও ডুবে গেছে পানির নিচে। তবে প্রধান সড়কের পানি দ্রুত সময়ে নেমে গেলেও কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন টানা তিন দিন। জানা যায়, নগরীর চরপাড়া এলাকার নয়পাড়া, সেহড়া, ডিবি রোড, মুন্সীবাড়ি ব্রাহ্মপল্লী এলাকার অনেক স্থানেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর ভাটিকাশর ও বলাশপুরের মানুষ। এসব জলাবদ্ধতাকে সাময়িক দুর্ভোগ উল্লেখ করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক ও নর্দমার উন্নয়নকাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা কেটে যাবে।

নগরের সিনিয়র সিটিজেনরা বলছেন, ময়মনসিংহ নগরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত প্রধান তিন খাল সেহরা, মাকড়জানি ও কাটাখালিতে ময়লা-আবর্জনা জমে ভরাটসহ জবরদখল হয়ে গেছে। এ ছাড়াও খালের পানিতে ইচ্ছামতো ময়লা-আবর্জনা ফেলাতে নেই পানির প্রবাহও। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে নগরীতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতার। আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নগরবাসী।

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ সভাপতি সংকর সাহা অনেকটা আক্ষেপ করে বলেন, বহুতল ভবন নির্মাণের পাইলিংয়ের মাটি সরাসরি ড্রেনে ফেলছে অনেকেই। এতে করে ড্রেন অকার্যকর হচ্ছে। অনেকে আবার অপচনশীল আবর্জনা সরাসরি ড্রেনে ফেলছেন। এসব অভ্যাস পরিত্যাগ করতে না পারলে সিটি করপোরেশনের শত উদ্যোগেও জলাবদ্ধতা দূর হবে না।

এদিকে জনদুর্ভোগের বিষয়টি জানার পর মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু গতকাল দুপুরে ভাটিকাশর ও বলাশপুর এলাকায় পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনটি বড় ড্রেনের নির্মাণকাজ চলছে। এ সংযোগগুলো সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর