বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সোনালি ব্যাগের দাম কমাতে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার রোধে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত ২ হাজার ২৭৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৪০টি মামলা করা হয়েছে। একই সময়ে ৫ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১৬৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৭৭১ দশমিক ৫৫ মেট্রিক টন পলিথিন-দানা-পলিমার জব্দ করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে সরকারদলীয় এমপি গাজী মোহম্মদ শাহনওয়াজের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রী জানান, প্রচলিত পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বায়োডিগ্রেডেবল পলিন বাজারজাতকরা এবং ব্যবহৃত পলিথিন রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান আবিষ্কৃত পাটজাত পলিথিন (বায়োডিগ্রেডেবেল বায়োপ্লাস্টিক) ‘সোনালি ব্যাগ’-এর দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে। মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের জন্য গৃহস্থলি বর্জ্য ও প্লাস্টিক বর্জ্যরে সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করেছে।

 এই বিধিমালায় পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধে স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন পুরুত্বের পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 তিনি আরও বলেন, পরিবেশ অধিদফতর নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ বা সীমিতকরার জন্য পরিবেশ অধিদফতরের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আইন অমান্য করে অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী, পরিবহনকারী, বিক্রেতা এবং মজুদদারকে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে নিয়মিত জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হচ্ছে এবং পলিথিন সামগ্রী ও কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে জনসাধারণকে নিরুৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণার কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর