বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চেতনানাশক ওষুধ মেশানো বিস্কুট খাইয়ে অজ্ঞান করা ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০-এর সদস্যরা। চক্রের সদস্যরা হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম, নুর ইসলাম, গোলাম রাব্বি, মো. আবদুর রহমান, মোছা. শীমা আক্তার ও শাহনাজ। মঙ্গলবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ও মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত চেতনানাশক মিশ্রিত বিস্কুট, চেতনানাশক ওষুধ, ভুক্তভোগী ফিরোজের মোবাইল ফোন ও একটি চোরাইকৃত সিএনজি উদ্ধার করা হয়। তারা যাত্রীবেশে ইজিবাইকে উঠে ছিনতাই করত। গতকাল ঢাকার কেরানীগঞ্জে র‌্যাব-১০-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, ২৭ জুন ইজিবাইক নিয়ে জীবিকার সন্ধানে বের হন ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো. ফিরোজ। ওইদিন বিকাল ৫টার পর থেকে তার কোনো হদিস পাচ্ছিল না তার পরিবার। ফিরোজের মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর ২৮ জুন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ফিরোজের বাবা কিবরিয়া গাজী। হাসনাবাদ গরু হাটে যাওয়ার সময় যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী একটি চক্রের সদস্যরা বিস্কুটে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ইজিবাইক চালক ফিরোজকে খাইয়ে অজ্ঞান করে ইজিবাইক ছিনতাই করে। অজ্ঞান অবস্থায় ভুক্তভোগীকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত ইজিবাইক থেকে ফেলেও দেয় ছিনতাইকারীরা।

এ ঘটনার পর তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে ছিনতাই চক্রের ওই ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শফিকুল ইসলাম, নুর ইসলাম, গোলাম রাব্বী, আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ওইদিনই গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এলাকা থেকে সীমা ও গতকাল মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে শাহনাজকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই পেশাদার ছিনতাই চক্রের সদস্য। ফিরোজের ইজিবাইক নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাগলা এলাকায় শফিকুলের কাছে হস্তান্তর করে ছিনতাইকারীরা। শফিকুল ওই ইজিবাইকটি শহীদ নামে এক ব্যক্তির কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর