অবৈধভাবে আড়াই হাজার কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই বরকত-রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত সম্পূরক অভিযোগপত্রসহ মামলার নথিপত্র ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান গতকাল এ আদেশ দেন। ২৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। ২০২০ সালের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করে সিআইডি। ২০২১ সালের ৩ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এতে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবর, মন্ত্রীর সাবেক এপিএস এ এইচ এম ফুয়াদসহ ১০ জনকে               আসামি করা হয়েছিল। পরে আদালতে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হয়। তবে অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের জবানবন্দিতে আরও অনেকের নাম উঠে আসে। কিন্তু তাদের বিষয়ে তদন্ত না করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন।

তদন্ত শেষে মামলায় সম্প্রতি আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে নতুন করে ৩৭ জনকে আসামি করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়াল ৪৭-এ। তাদের মধ্যে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাবেক নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই, একান্ত সহকারী (এপিএস) ও ঘনিষ্ঠজনেরা রয়েছেন।

 সাহেব সরোয়ার, সাজ্জাদ হোসেন, স্বপন কুমার পাল, জাহিদ ব্যাপারী, খলিফা কামাল, নাফিজুল, রিয়াজ আহমদ, আনোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান, মাহফুজুর রহমান, সুমন সাহা, আবদুল জলিল শেখ, রফিক মন্ডল, আফজাল হোসেন খান, খন্দকার শাহিন আহমেদ ও আরিফুর রহমান ওরফে দোলন।