বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

পিপিপি কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা খর্ব করে সংশোধিত বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে পিপিপি কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা খর্ব করে সংসদে পাস হয়েছে ‘বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধন) বিল-২০২৩’। এ বিষয়ে বিদ্যমান আইনের ৪ নম্বর ধারার ৩ উপধারায় সংশোধনী এনে ‘স্বাধীন’ শব্দটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়ানোর জন্য এ সংশোধনী আনা হয়েছে।

গতকাল জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

 

 

বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বিদ্যমান আইনে কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা খর্ব করার সমালোচনা করেন। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, এই আইন সংশোধন করে পিপিপি কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা খর্ব করা হলো। পিপিপির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী। তারপরও হঠাৎ কেন এটা সরকারের কাছে নিতে হচ্ছে।

জবাবে কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা কমে যাওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে মন্ত্রী বলেন, একটা কর্তৃপক্ষ স্বাধীন হতে পারে না। সরকার চলে রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী। সরকারকে এড়িয়ে কোনো কর্তৃপক্ষকে চূড়ান্ত ক্ষমতা বা স্বাধীনতা দেওয়া যায় না বলেই এ সংশোধনী আনা হয়েছে। এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ সময় বিরোধী দলের সমালোচনাকে স্ববিরোধী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়ানোর জন্য এ সংশোধনী আনা হয়েছে।

আইনের ৪ নম্বর ধারার ৩ উপধারায় এতদিন বলা ছিল, আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে পিপিপি কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হবে। এখানে সংশোধনী এনে ‘স্বাধীন’ শব্দটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে পিপিপি কর্তৃপক্ষের সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদনের ক্ষমতা বোর্ড অব গভর্নরসের হাতে ছিল। এটি পরিবর্তন করে এই ক্ষমতা সরকারের হাতে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বিলে। এ ছাড়া সংশোধনী এনে পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষমতা বোর্ড অব গভর্নরসের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর