শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

জলাশয় ভরাট করে মার্কেট

রাজশাহীতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না ইউপি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

জলাশয় ভরাট করে মার্কেট

রাজশাহী মহানগরীতে জলাশয় ভরাটে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নগরীর সপুরায় সুখানদীঘি নামে পরিচিত একটি জলাশয় ভরাটের কাজ চলছে। সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে মার্কেট। ইতোমধ্যে সেখানে কয়েকটি দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানার হয়ে জলাশয় ভরাট ও দোকানঘর নির্মাণকাজ করছেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। অবশ্য জলাশয় ভরাটের কথা অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘সুখানদীঘির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি ভরাট করতে যাব কেন!’ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দীঘিটির উত্তর পাশে বেশ কিছু জায়গা ভরাট করা হয়েছে। সেই ভরাট করা জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে মার্কেট। দীঘিটি ভরাট করে ইতোমধ্যে ১৫টি দোকানঘর নির্মাণে দেয়াল দেওয়া হয়েছে। একদিকে দীঘিটির উত্তর পাশে মাটি ফেলে ভরাট চলছে, অন্যদিকে চলছে মার্কেট নির্মাণের কাজ। সরকারিভাবে এই দীঘিটি ভরাট না করতে নিষেধাজ্ঞা আছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর সুপরার সুখানদীঘির কিছু অংশ ইউনুস আলীর ছেলে সেলীর কাছ থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা কিনেছেন। চেয়ারম্যান একজনের অংশ কিনে ভরাট করে সেখানে দোকানঘর নির্মাণ করছেন। দোকানঘর নির্মাণের জন্য স্থানীয় কিছু লোকজনকে ব্যবহার করছেন।

স্থানীয় মোস্তাক হোসেন, সৌরভ আলী, সুমন ও কালু নামে কয়েকজন ব্যক্তি চেয়ারম্যান সোহেলকে দীঘিটি ভরাট ও দোকানঘর নির্মাণ করে দেওয়ার শর্তে ভাড়াটে হিসেবে কাজ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, দীঘিটি ভরাট বন্ধে হাই কোর্ট থেকে নির্দেশনা আছে। এই দীঘির অংশীদার বেশি হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা আছে। কিছু অংশীদার গোপনে দীঘির জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। যারা অংশীদারের জায়গা কিনেছেন, তারা জোর করে এই দীঘিটি ভরাট করার চেষ্টা করছেন। দীঘির বেশ কিছু অংশ ইতোমধ্যে ভরাট করা হয়েছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সোবহান লিটন বলেন, ‘দীঘিটি ভরাটের ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। আমার দিক থেকেও আমি ভরাট বন্ধে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা কোনো কথা শোনে না। আদালত থেকে যেহেতু নিষেধাজ্ঞা আছে, সেটিও তারা অমান্য করে। সেখানে আমাদের কী করার আছে।’

এ ব্যাপারে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) নগর পরিকল্পক আজমেরী আশরাফি জানান, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তিনি এখন শুনলেন। বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর