শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বরিশালে ডেঙ্গু রোগী আরও বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। বুধবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৫২ জন রোগী। চিকিৎসাধীন রোগীদের রয়েছে নানা সমস্যা ও সংকট। ডেঙ্গু রোগীদের রাখা হয়েছে সাধারণ রোগীদের পাশে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে অন্য রোগীদের মাঝে। ভুক্তভোগীরা ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড চালুর দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু স্থান সংকুলান না হওয়ায় ডেঙ্গু রোগীদের একই ওয়ার্ডে পৃথক ব্যবস্থায় রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার শেবাচিম হাসপাতালের ৪টি মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল ৫২ জন ডেঙ্গু রোগী। এর আগে মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ জন, সোমবার ৪৬ জন এবং রবিবার চিকিৎসাধীন ছিল ৪১ জন রোগী। গতকাল সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ৪টি মেডিসিন ওয়ার্ডে অন্য সাধারণ রোগীদের পাশেই রাখা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের।

 ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ হলেও ডেঙ্গু রোগীদের মশারির নিচে রাখা হয়নি। কর্তৃপক্ষ রোগীদের মাঝে মশারি সরবরাহ করলেও স্ট্যান্ড না থাকায় ওয়ার্ডে মশারি টানানোর ব্যবস্থা নেই। এ কারণে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালুর দাবি জানিয়েছেন মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা। নোংরা-পূতিগন্ধ মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে এবং বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের জন্য নেই কোনো বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা। প্রতিটি ওয়ার্ডে শতাধিক রোগী এবং তাদের কয়েক শ স্বজনের জন্য একটি টয়লেট থাকায় টয়লেট ব্যবহার করতে হয় লাইন ধরে। তাও নোংরা। এ নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মনিরুজ্জামান জানান, মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীরা স্থানীয় ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বাসিন্দা। ওয়ার্ডে তাদের মশারি দেওয়া হয়েছে। একই ওয়ার্ডে আলাদা কর্নার করে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাধ্যমতো তাদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, গুরুতর ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ‘সেল সেপারেটর’ অত্যাবশ্যকীয়। ‘সেল সেপারেটর’ যন্ত্র বরাদ্দ চেয়ে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাড়া পাওয়া যায়নি। ‘সেল সেপারেটর’ যন্ত্র না থাকায় গুরুতর ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

সর্বশেষ খবর