‘দক্ষ মানবসম্পদের ঘাটতি মেটাতে শিল্প-শিক্ষা খাতের সমন্বয় অপরিহার্য। এর অভাবে প্রতি বছর দক্ষ জনশক্তির অভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে চলে যায়।’ গতকাল ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ?‘শিল্প-শিক্ষা খাতের সমন্বয় : পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান নাসরীন আফরোজ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেম-এর গবেষণা পরিচালক ড. সায়েমা হক বিদিশা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি টমো পুটিনেন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বডির সদস্য সাফকাত হায়দার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন সেমিনারের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষা ও শিল্প খাতের সমন্বয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আলোচনা হচ্ছে, এখন সময় এসেছে তাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এবং এ জন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ অতীব জরুরি। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ও শিল্প খাতের মধ্যে কিছুটা আস্থার ঘাটতি আমরা পরিলক্ষিত করছি, যার নিরসন একান্ত আবশ্যক। তিনি জানান, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি ‘রূপান্তর পরিবর্তন’ আনয়নের লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ‘একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান’ তৈরির আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে জনবল তৈরির লক্ষ্যে একটি ইকো-সিস্টেম প্রণয়ন করতে হবে, যাতে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।