সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

এবার মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

মশা মারতে কামান নয়, এবার মশার বাসস্থান খুঁজতে ড্রোন ওড়াল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। আর তাতে ধরা পড়ল বহুতল ভবনের সুুইমিংপুল আর ছাদবাগানে জমে থাকা পানিতে গড়ে ওঠা মশার আবাসস্থল। গতকাল নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে চালানো অভিযানে উঠে আসে এ চিত্র।

সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আজকে ড্রোন দিয়ে বহুতল ভবনগুলোর ছাদ পর্যবেক্ষণ করে প্রায় সব ভবনের ছাদে পানি জমে থাকতে দেখেছি। আজ (রবিবার) সবাইকে ডেকে সতর্ক করছি, জমে থাকা পানি না সরালে জরিমানাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিব।’ সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক তথ্যে দেখা গেছে, ২০২১ সালের তুলনায় এ বছর চট্টগ্রাম নগরে মশার প্রজনন স্থান হিসেবে ৪৩৫টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের সবচেয়ে বেশি মশার প্রজনন স্পট রয়েছে মোহরা ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডে ৫২টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া শুলকবহর ওয়ার্ডে ৩০ স্পট, পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে ২৯টি ও দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ২৫ স্পটকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশ্বেম জানান, মশার সংক্রমণ কমাতে আমরা ১০০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রামের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জোর দিচ্ছি। আজকে আরবান ও রেড ক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ারদের আটটি টিম গঠন করে নগরীর আটটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে তাদের বাসায় জমে থাকা পানি অপসারণের আহ্বান জানানো হচ্ছে। মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এ সময় ছাদে মশার লার্ভা ও আবাসস্থল পাওয়ায় চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন সাতটি ভবনের মালিকপক্ষকে মোট ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর