সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফের ভাঙনের মুখে গণতন্ত্রী পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফের ভাঙনের মুখে পড়েছে গণতন্ত্রী পার্টি। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিভক্ত হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলটি। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। উপদলীয় চক্রান্তের অভিযোগ এনে দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একে অপরকে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কার করেছেন। জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর গণতন্ত্রী পার্টির সম্মেলন ডাকা হয়। তখন সাবজেক্ট কমিটি ছাড়াই কমিটি করতে গেলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী তা স্থগিত করেন। এরপর ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সভাপতি একজনকে ও সাধারণ সম্পাদক আরেকজনকে মনোনয়ন দেন। এতে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ বিবাদ দৃশ্যমান হয়। গত ২৬ জুন গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার আরশ আলীকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সঙ্গে আরী দুজনকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুলাই পার্টির সভাপতি জরুরি বৈঠক ডেকে প্রায় একই অভিযোগে পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী কামরুল আহসান খান পারভেজকে পাল্টা বহিষ্কার করেন। আরশ আলী আগামী ১২ জুলাই দলের সম্মেলন আহ্বান করেন।

এদিকে গত শনিবার রাজধানীর স্থগিত প্রতিনিধি সম্মেলন করে ডা. শাহাদাত হোসেনকে সভাপতি ও কামরুল আহসান খান পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আরশ আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর গণতন্ত্রী পার্টির সম্মেলন আমি সভাপতি হিসেবে স্থগিত করেছিলাম। সেই সম্মেলন অন্য কারও ডাকার এখতিয়ার নেই। ডা. শাহাদাত হোসেন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে তথাকথিত যে সম্মেলন করেছেন, তা অবৈধ-অগঠনতান্ত্রিক। এ কমিটির কোনো বৈধতা নেই। আগামী ১২ জুন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণতন্ত্রী পার্টির সম্মেলন হবে।

গণতন্ত্রী পার্টির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যক্তি স্বার্থে পার্টি আবারও ভাঙনের মুখে পড়ল। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থকে বড় করে দেখায় এই বিরোধ।

এ প্রসঙ্গে ডা. শাহাদাত হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরাই বৈধ কমিটি। তাদের সঙ্গে দলের কোনো লোক নেই। তারা দলের কার্যালয় অন্যত্র দেখিয়ে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী করেছিল। অথচ পার্টির কার্যালয় আরেক জায়গায়।’

উল্লেখ, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পার্টি এর আগেও দুই দফা ভাঙনের মুখে পড়ে। একদফায় প্রবীণ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে, আরেক দফায় আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে ভাঙন হয়। এবার দিয়ে তৃতীয় দফায় ভাঙন সৃষ্টি হলো দলটিতে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর