শিরোনাম
সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাবি শিক্ষক মহিউদ্দীন স্থায়ী বরখাস্ত

অধ্যাপক তাহের হত্যা

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দীনকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। হত্যার অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় গত ২৩ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক আদেশ্বে ২০০৮ সালের ২২ মে থেকে শিক্ষকের পদ থেকে তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়। গতকাল তথ্যটি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম জানিয়েছেন, ২০০৮ সালের ২২ মে নিম্নআদালতে সাজা হলে অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দীনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। উচ্চ আদালত তার সাজা বহাল রাখায় তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রাণভিক্ষা নাকচের চিঠি গত ৬ জুলাই ডাকযোগে কারাগারে এসে পৌঁছায়। কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রায় ছয় মাস আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন আসামিদ্বয়। সে আবেদন গত মাসে রাষ্ট্রপতি নাকচ করেন। এর মাধ্যমে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দীন ও নিহত অধ্যাপক তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে চলমান সব দাফতরিক ও আইনি প্রক্রিয়া শ্বেষ হয়।

জেলার আরও জানান, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা দেখা করছেন মৃত্যুদন্ড পাওয়া দুই আসামির সঙ্গে। রবিবারও পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। তবে চূড়ান্ত দেখা করার দিনক্ষণ এখনো তাদের জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে নিখোঁজ হন অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ। বাসাটিতে তিনি একাই থাকতেন। জাহাঙ্গীর আলম তার দেখাশোনা করতেন। পরদিন বাসাটির পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় তার লাশ। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ বাদী হয়ে রাজশাহীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর