সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

লিফট-এস্কেলেটর আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

লিফট ও এস্কেলেটরকে ‘অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি’ ক্যাটাগরিতে রেখে আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করে আগের শুল্ক করহার বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। গতকাল রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ এলিভেটর এস্কেলেটর অ্যান্ড লিফট ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলিয়া) আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি এমদাদ উর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বেলিয়া সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম উজ্জ্বল বলেন, করোনা পরবর্তী গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিগ্রহ, মুদ্রাস্ফীতি স্থায়ী মন্দা, বিভিন্ন দেশ্বে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি কারণে লিফট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তারপরও গত অর্থবছরে লিফটের ওপরে ৫ শতাংশ শুল্কবৃদ্ধি করাতে আমদানিকারকদের আরও বেগতিক অবস্থায় পড়তে হয়েছে এবং গত অর্থবছরে লিফটকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমরা বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা বিক্রি পর্যায়ে সরবরাহের বিপরীতে ভ্যাট দিয়ে থাকি। সরকার লিফট উৎপাদনকারীদের ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভ্যাট মওকুফ ঘোষণা করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে আমদানি শুল্ক ও কর অনুযায়ী দেশীয় উৎপাদনকারীরা লিফটের যন্ত্রাংশ্বে এক শতাংশ আমদানি শুল্ক দেয়। উৎপাদনকারীরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে জাহাজ ভাড়ার সুবিধা, আমদানি করের সুবিধা এবং সরবরাহের বিপরীতে ভ্যাট সুবিধায় সম্পূর্ণ তৈরি লিফট আমদানিকারকদের থেকে ২৫ শতাংশ কম মূল্যে বিক্রি করতে পারেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সম্পূর্ণ তৈরি লিফট আমদানি শুল্ক আবারও ১০ শতাংশ বাড়ানোর কারণে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আমদানি লিফট ও দেশীয় শিল্পে উৎপাদিত লিফটের দামের পার্থক্য হচ্ছে ৩৭-৪০ শতাংশ, যা খুবই অসম হচ্ছে।

মানববন্ধন থেকে দাবি করা হয়, মানববাহনের লিফটের আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বাংলাদেশ্বে লিফট স্ট্যান্ডার্ড প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করা এখন সময়ের দাবি। বেলিয়া সরকারের সঙ্গে একযোগে এ আমদানিনির্ভর সেক্টরের বিকল্প পন্থা উদ্ভাবন, সেফটি এবং স্ট্যান্ডার্ড নীতিমালা প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রণয়ন ইত্যাদি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে একযোগে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর