মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রতীক বরাদ্দের আগেই কৌশলী প্রচারে প্রার্থীরা

চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে আগামী বৃহস্পতিবার। কিন্তু এর আগেই ভোটের মাঠে নানা কৌশলে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত চার প্রার্থী। অভিনন্দনবার্তা, শুভেচ্ছা বিনিময়, দলীয় কর্মসূচি ও ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানের আড়ালে প্রচার চালাচ্ছেন তারা। কর্মী-সমর্থরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন। এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের আগে সব ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত চার প্রার্থী চারটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করায় তাদের দলীয় প্রতীক অনেকটাই নিশ্চিত। সে কারণে তারা এ ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। গত ২ জুন চট্টগ্রাম-১০ আসনের এমপি ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুর পর এই শূন্য আসনে ৩০ জুলাই উপনির্বাচন। মনোনয়নপত্র দাখিল করা ছয়জনের মধ্যে চার প্রার্থী টিকে আছেন। দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, জাতীয় পার্টির মো. সামসুল আলম ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া। এসব প্রার্থীর কেউ চাইলে আগামী কালের (বুধবার) মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার সুযোগ পাবেন। বৃহস্পতিবার চার প্রার্র্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। এরপর থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালাতে পারবেন। জানা গেছে, গত শনিবার লালখান বাজারে চট্টগ্রাম-১০ আসনের আওতাভুক্ত ওয়ার্ড ও ইউনিটগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও নগর যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক কয়েকটি সংস্থার সঙ্গেও সভা করেছেন বাচ্চু। বাচ্চুর মতো অন্য প্রার্থীরাও নানা কৌশলে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী দীপক কুমার পালিতের দাবি, তিনি ইসির নির্দেশনার বাইরে কিছু করছেন না। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রুটিন সাক্ষাৎ ছাড়া আর কিছু করছেন না তিনি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সামসুল আলম বলেন, ‘কোনোভাবে যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয় সে ব্যাপারে আমি ও আমার দলের নেতা-কর্মীরা সতর্ক।’ ইসির নির্দেশনার কারণে দলের সভা-সমাবেশ থেকেও তিনি আপাতত দূরে আছেন বলে জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর