বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাবি ছাত্রলীগ এক কমিটিতে অর্ধযুগ, বাড়ছে কোন্দল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

এক নেতৃত্বে অর্ধযুগ পার করেছে তবুও নতুন কমিটি না হওয়ায় হতাশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা। কমিটি না হওয়ায় শাখায় নেতৃত্ব সংকট বাড়ছে। শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছেন বেশির ভাগ নেতা-কর্মী, হতাশায় নিষ্ক্রিয় অনেকে। ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম। বাড়ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। নতুন কমিটির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঙ্গে বিভিন্নভাবে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি সূত্র বলছে, সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে অবগত আছেন। হয়তো খুব শিগগিরই নতুন কমিটি হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার এখতিয়ার তো আমাদের নেই। আমরা সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। আমরাও চাই, নতুন নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠুক এবং তাদের নেতৃত্বে শাখা ছাত্রলীগ আরও বেশি শক্তিশালী হোক। ২০১৬ সালে রাবি শাখা ছাত্রলীগের ২৫তম সম্মেলনে বর্তমান কমিটি গঠন করা হয়। এতে গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। তারা উভয়েই রাজশাহীর স্থানীয়। গঠনতন্ত্র অনুসারে ২০১৭ সালে এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও ছয় বছর এক কমিটি দিয়েই চলছে এই শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম। সর্বশেষ ২০২২ সালের মার্চে রাবির হল সম্মেলনে অংশ নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তখন তিনি সেই বছর ঈদের পরই নতুন কমিটি ঘোষণার আশ্বাস দেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর হয়নি। একই বছরের অক্টোবরে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণ ও সম্মেলনে দিনক্ষণ নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শেষ পর্যন্ত বিনা নোটিসে সেটাও স্থগিত হয়।

পদপ্রত্যাশীরা বলছেন, রাবি ছাত্রলীগের অন্যতম একটি শক্তিশালী শাখা। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না হওয়ায় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম শ্লথ হয়ে পড়েছে। হলে অধিকাংশ নেতা-কর্মী নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ ও স্বার্থের জন্য সংগঠনকে ব্যবহার করছেন। নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্য না থাকায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বাড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান কমিটির ২৫১ জন নেতা-কর্মীর মধ্যে প্রায় ২৩০ জনই নিষ্ক্রিয়। তাদের অনেকে বিয়ে, চাকরি ও অন্যান্য কারণে অন্যত্র চলে গেছেন। হাতেগোনা কয়েকজন সিনিয়র পদধারী নেতা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। তাদেরও নিয়মিত পড়াশোনা শেষ। কিন্তু বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়ে কোনো রকম ছাত্রত্ব টিকিয়ে রেখেছেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর