বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি বিড়ম্বনা

নির্দেশনা মানছে না ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিপাকে রোগী ও স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ইচ্ছামতো ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায় এনএস-১ অ্যান্টিজেন ও আইজিএম পরীক্ষার প্রয়োজন হলেও রক্তের আরও কয়েকটি পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। অভিযোগ রয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও দ্বিগুণ/তিনগুণ হারে ফি আদায় করা হয়। জানা যায়, নগরীর সন্ধানী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষা অ্যান্টি ডেঙ্গু ইমিউনোগ্লোবুলিন জি (আইজিজি) ও আইজিএম পরীক্ষায় ১৫০০ টাকা ও রক্তের সিবিসি পরীক্ষায় ৯০০ টাকাসহ মোট ২৪০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। একইভাবে হক নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এনএস-১ পরীক্ষায় ৫০০ টাকা, আইজিএম ৫০০ টাকা ও সিবিসি ৯০০ টাকা মোট ১৯০০ টাকা নেওয়া হয়। স্কুল শিক্ষক মোশাররফ হোসেন জানান, তার ছেলের দুই দিন ধরে জ্বর। এর সঙ্গে গায়ে ব্যথা, মাথায় ব্যাথা। জ্বর কমার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু হয়েছে কি না নিশ্চিত হতে সন্ধানী ক্লিনিকে গেলে তারা পরীক্ষার জন্য ২৪০০ টাকা দাবি করে। পরে আরও কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে শেষে সরকারি হাসপাতালে কম টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করেছি।

 সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, এনএস-১ অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু হয়েছে কি না জানা যায়। বেসরকারি হাসপাতালে এ পরীক্ষার জন্য ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ইচ্ছামতো ২০০০-২২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে কেউ অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। গতকাল খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় নতুন করে ৩৭ জন ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন ৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডাক্তার সুভাষ রঞ্জন হালদার জানান, এই হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে মোট ২৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর