বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সিলেটে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অতিষ্ঠ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অতিষ্ঠ মানুষ। গ্রাম কিংবা নগর, তিন দিন ধরে সবখানেই প্রায় প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। গভীর রাতেও বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে ভোগান্তিতে আছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সিলেটে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই সিলেটে এমন লোডশেডিং। আগামী সপ্তাহে সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। সিলেট মহানগরের জিন্দাবাজারে ছাপাখানা রয়েছে শিববাড়ি এলাকার বাসিন্দা অনিক কর দীপের। গত তিন দিন ধরে তার ব্যবসায়িক কাজে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। কাস্টমারদের সময় মতো কাজ ডেলিভারি দিতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায় লালবাতি জ্বলবে।’ দ্রুত এ অবস্থা থেকে উত্তরণের দাবি জানান তিনি।

মহানগরের তালতলা এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী সুমাইয়া বেগম বলেন, ‘তীব্র লোডশেডিংয়ে সাংসারিক কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার চরম ক্ষতি হচ্ছে। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছে না।’

দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকার বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সী সিফাত উল্লাহ বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে তীব্র গরমে রাত-দিন হাঁসফাঁস অবস্থা। রাতে যে দুই ঘণ্টা শান্তিতে ঘুমাব এ অবস্থাও নেই।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) সিলেট বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী মো. আরাফাত আল-মাজিদ ভূঁইয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সিলেটে তীব্র গরম না হলে পুরো বিভাগে গড়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। আর গরম হলে চাহিদা থাকে ৬০০ থেকে ৬৫০ মেগাওয়াটের। কিন্তু চাহিদার সর্বোচ্চ ৬০ ভাগ সরবরাহ হয় সিলেটে। ৪০ ভাগ ঘাটতি থাকে। ফলে সিলেটে এভাবে লোডশেডিং হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিবিয়ানাসহ তিনটি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকায় সিলেটের সরবরাহে ঘাটতি থাকছে। তবে আগামী সপ্তাহে এসব কেন্দ্র ফের চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চালু হলে সিলেটে লোডশেডিং কমে যাবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর