বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইবির মেডিকেল কেন্দ্র ভাঙচুর চালককে মারধর

ইবি প্রতিনিধি

অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসা কেন্দ্র ভাঙচুর এবং চালককে মারধর করেছেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যসহ তার সঙ্গীরা। মাদকাসক্ত অবস্থায় এমনটি করেছে বলে দাবি করেছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাত ১২টায় সংঘটিত এ ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত হলেন একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আতিক ও সালমান আজিজ। গতকাল সকালে ক্ষতিগ্রস্ত চিকিৎসা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। জানা যায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে কাব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুর রহমান মিল্টন তাকে ইনজেকশন দেন।

আধঘণ্টা পর কুষ্টিয়া পাঠানোর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে বাগবিতন্ডা শুরু করেন কাব্য। চিকিৎসক তাকে জরুরি ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয় না বলে জানান। এরপর চিকিৎসা কেন্দ্রের অফিসের চেয়ার টেবিল-ভাঙচুর করেন। পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল বডির অনুমতি ছাড়া গাড়ি দিতে রাজি না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহিনুজ্জামানকে মারধর করেন। পরে কুষ্টিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শী প্যাথলজি বিভাগের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তিনি (কাব্য) এসে দেয়ালে লাথি দেওয়া ও অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। পরে অসুস্থতার জন্য ইনজেকশন দেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসককে কুষ্টিয়া পাঠাতে জোর করেন। এতে একটু সময় লাগায় তিনি ভাঙচুর করতে থাকেন।’

অ্যাম্বুলেন্সচালক মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘আমাকে তিনি (কাব্য) ফোন দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে বলেন এবং পরিচয় জানতে চাইলে হুমকি দিতে থাকেন। পরে খোঁজাখুঁজি করে তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে বি এম ছাত্রাবাসের পাশে ঘাসে শুয়ে থাকা অবস্থায় পাই। মেডিকেলে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে ইনজেকশন দেন। সেবা দেওয়ার পর কেন্দ্রেই বসে থাকেন ও কুষ্টিয়া যেতে চান। প্রক্টরিয়াল বডি অনুমতি না দেওয়ায় আমি গাড়ি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে মারধর করেন।’

এ বিষয়ে চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে এসে জরুরি বিভাগে সব কিছু ভাঙচুর অবস্থায় পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। এখন পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

প্রসঙ্গত, এর আগে টাকা ছিনতাই ও দেশীয় অস্ত্র বহনের অভিযোগে অভিযুক্ত কাব্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রসহ আটক হওয়ার পর সাময়িক বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ আবদুস সালাম সেলিমের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও গলায় ছুরি ধরারও অভিযোগ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর