বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় লোক নাট্যদলের নাটক ‘সুন্দর’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় লোক নাট্যদলের নাটক ‘সুন্দর’

লোক নাট্যদল (বনানী) শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন করেছে দলটির দর্শকনন্দিত প্রযোজনার নাটক ‘সুন্দর’। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। এটি দলের ৩১তম প্রযোজনার দ্বিতীয় মঞ্চায়ন। মোহিত চট্টোপাধ্যায় রচিত নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন কামরুন নূর চৌধুরী। সাধারণত সুন্দর বলতে মানুষের বাহ্যিক বা শারীরিক সৌন্দর্যকেই দেখা হয়। অপরদিকে দেখতে অসুন্দর বা কম সুন্দর মানুষকে সমাজের মানুষ খুব একটা পছন্দ করে না, এড়িয়ে চলে। শুধু তার কম সুন্দর দিকটাকে নিয়ে চর্চা করে সংকীর্ণ গি র মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলে। মানুষের চেহারা যেরকমই হোক বা উচ্চতায় যতটাই খাটো হোক না, তার মধ্যেও অন্তর্নিহিত কোনো সৌন্দর্য রয়েছে যা অনাবিষ্কৃতই থেকে যায়। পাশাপাশি সেই মানুষের কর্মগুণ, দক্ষতা ও সমাজে অবদান রাখার মতো গুণাবলি তাকে সুন্দর করে তুলতে পারে এবং এর স্বীকৃতি তার জীবনকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করতে পারে। পৃথিবীতে সম্পূর্ণ সুন্দর বা সর্বগুণে গুণান্বিত পরিপূর্ণ মানুষ যেমন নেই, আবার একবারে অসুন্দর মানুষও নেই। কিন্তু মানুষের সেই সুন্দর রূপ এ সমাজ আবিষ্কার করতে পারে না। মানুষের সে সৌন্দর্য খুঁজে বের করতে পারলে, সে সুন্দরের প্রশংসা করতে পারলে পৃথিবীটা অন্যরকম সুন্দর হয়ে উঠতে পারে। এমন গল্প নিয়েই নাটকটির কাহিনি।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবদুল্লাহ আল হারুন, মিনহাজুল হুদা দীপ, সোহেল মাসুদ, তানজিনা রহমান, সাদেক ইসলাম, মোজাক্কির আলম রাফান, জান্নাতুল ফেরদৌস মিষ্টি প্রমুখ।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ স্মরণে আলোচনা : বহুভাষাবিদ, জ্ঞানতাপস, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। গতকাল একাডেমির সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সভাগৃহে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্র অবদানে নানাভাবে ঋদ্ধ। বিশেষত বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ ছিল তাঁর গবেষণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ চর্যাপদ-এর ভাষা বিশ্লেষণ করে এর উদ্ভবকাল সম্পর্কে প্রচলিত বহু ভ্রান্ত ধারণা খন্ডন করে এর বৈজ্ঞানিক-বাস্তবভিত্তিক সময়কাল নির্ধারণ করেন যা এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তিনি বলেন, বাংলা অঞ্চলে প্রচলিত বহু প্রবাদের উৎসস্থল যে চর্যাপদ, তাও ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্র অনুসন্ধানলব্ধ আবিষ্কার। সেলিনা হোসেন বলেন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তাঁর সারা জীবনের সাধনায় আমাদের মাঝে সঞ্চার করেছেন মাতৃভাষা বাংলার প্রতি অপরিসীম মমতা। তিনি যেমন ভাষাতাত্ত্বিক কারণে আমাদের কাছে স্মরণীয় তেমনি বাংলা ভাষার পক্ষে লড়াইয়ের জন্যও স্মরণযোগ্য।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর