শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে সহপাঠীর আশ্লীল ভিডিও ধারণ, তিন শিক্ষার্থী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নার্সিং ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রী তার খালি বাসায় মাঝেমধ্যেই প্রেমিককে ডেকে নিয়ে থাকতেন। এক সময় তার এক সহপাঠী বিষয়টি পরিবারকে জানিয়ে দেয়। এর জেরে ওই শিক্ষার্থী ও তার প্রেমিক অভিযোগকারী সহপাঠীকে পিটিয়ে জোর করে তার অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। এমন অভিযোগে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাজশাহী নগরীর বালিয়াপুকুর বটতলা এলাকায় আয়েশা খাতুন (২০) ও শ্যামলী খাতুন শিমুর সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। আয়েশার সঙ্গে তামিম ইকবাল (২০) নামে এক যুবকের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক আছে। বাড়িতে কেউ না থাকলে আয়েশা তামিমকে মাঝেমধ্যেই ডেকে আনতেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নজরে এলে তিনি আয়েশার বাবাকে মোবাইল ফোনে তা জানিয়ে দেন। তখন আয়েশার বাবা বিষয়টি নিয়ে বকাবকি করেন। এর জেরে গত ৭ জুলাই রাতে প্রেমিক তামিমকে সঙ্গে নিয়ে আয়েশা ও শ্যামলী তাদের ভাড়া করা বাসায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে মারধর করে।

এ সময় আয়েশা ও শ্যামলীর মারপিটে ভুক্তভোগী নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন এবং মারধরের ঘটনা কাউকে জানালে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে আয়েশা তার প্রেমিকের মোবাইল ফোনে সেই ভিডিও পাঠালে তামিম তা ওই নার্সিং ইনস্টিটিউটের অন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেন।

গত মঙ্গলবার ওই নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাবু বিষয়টি জানতে পেরে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশকে জানান। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলা করেন। বোয়ালিয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে বুধবার গ্রেফতার করে।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিডিও ধারণ করা মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর