সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আউয়াল দম্পতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম আউয়াল এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা লীগের সভাপতি লায়লা পারভীন হাই কোর্টে আবেদন করেছেন। গতকাল দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ৬ এপ্রিল পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেন।

এসব মামলায় এ কে এম আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামিকে করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এমপি আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীন নিজের নাম লায়লা ইরাদ উল্লেখ করে ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি মৌজায় সরকারি ভিপি ৫ শতাংশ জমি ইজারা নেন। ইজারা নেওয়ার আবেদনপত্রে লায়লা ইরাদের স্বাক্ষর ছিল। চুক্তি অনুযায়ী আধা-পাকা ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও দ্বিতল ভবন করে এ কে এম আউয়াল ফাউন্ডেশন ও পাঠাগারের নামে অবৈধভাবে সে জমি দখলে রাখা হয়েছে। ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল স্বামী-স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদক কর্মকর্তা মো. আলী আকবর।

একই কর্মকর্তার করা দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে বলা হয়, এ কে এম আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পিরোজপুর সদরে রাজার পুকুরের জমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের পরিবর্তে লায়লা আউয়াল উল্লেখ করে ৪৪ শতাংশ জমি উভয়ের নামে নেন। পরে পুকুর ভরাট করে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখলে নেন। ওই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

আরেক মামলায় অভিযোগ, দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকাকালে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈচাকাঠি পল্লী বিদ্যুতের সাব-জোনাল অফিসের পাশে বৈচাকাঠি মৌজায় ৩ শতাংশ খাসজমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে নিয়ে দ্বিতল ভবন করে মাসিক ১৭ হাজার ২৫০ টাকা চুক্তিতে ভাড়া দেন। এ মামলায়ও একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর