বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

কবে চালু হবে রাজশাহীর দুই হাসপাতাল

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

কবে চালু হবে রাজশাহীর দুই হাসপাতাল

করোনার প্রথম ঢেউয়ে সংকটে ছিল চিকিৎসা খাত। সে সময় রাজশাহী সদর হাসপাতালটি সংস্কার করে চালুর উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সংস্কার কাজ ইতোমধ্যেই শেষ। এ ছাড়া ২০০ শয্যার শিশু হাসপাতালের কাজও শেষ হয়েছে। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সিভিল সার্জনকে। কিন্তু বিপত্তি দেখা দিয়েছে হাসপাতালটি পরিচালনার দায়িত্বভার কাকে বুঝিয়ে দেবেন সিভিল সার্জন।

এ ছাড়া হাসপাতালের পরিচালন ব্যয়, চিকিৎসক, নার্স, অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ এবং মেডিকেল সরঞ্জাম ব্যয়ের বিষয়গুলো নির্ধারণ না হওয়ায় হাসপাতাল দুটি চালু করা নিয়ে সংশয়ে আছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে শিশু হাসপাতালের ভবন ও সদর হাসপাতালের যন্ত্রপাতি অলস পড়ে আছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালটি চালুর নির্দেশনা দিলেও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না মেলায় তা চালু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে হাসপাতাল চালু না হওয়ায় সেখানকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে গণপূর্ত বিভাগ। ১৯০২ সালে রাজশাহী সদর হাসপাতালে শুরু হয় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। ২০০৪ সালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে এখানে ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ। গত মহামারীর সময় বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়ে জরুরিভাবে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শত বছরের পুরনো রাজশাহী সদর হাসপাতালের সংস্কার কাজ শেষ করে সরকার।

রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ১৪০ শয্যায় গ্যাস সংযোগসহ ২০০ রোগীর সেবা দানে যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। অবকাঠামো ও বৈদ্যুতিক সংস্কার, যন্ত্রপাতি স্থাপন শেষে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হাসপাতালের হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। বছর পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় এর যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা আছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, করোনাকালে রাজশাহী বিভাগের বেশির ভাগ রোগী রামেকে ভর্তি হয়েছিল। সে সময় শয্যা সংকট থাকায় সদর হাসপাতালকে করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল করার পরিকল্পনা করা হয়। এটি জরুরিভাবে সংস্কারও সম্পন্ন হয়। যেহেতু এখন করোনা সংক্রমণ কমেছে, সেহেতু স্বাস্থ্য বিভাগ এটি পুনরায় সদর হাসপাতাল হিসেবে সাধারণ সব রোগের চিকিৎসার জন্য চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এটা চালু হলে রামেকে রোগীর চাপ কমবে। রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, ‘এখনো স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন মেলেনি। সে কারণে দেরি হচ্ছে। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছি। অনুমোদন হলেই লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর চালু করা সম্ভব হবে।’ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ২০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল হয়েছে রাজশাহীতে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর