বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সালমানের মুক্তিপণ দাবি ট্রেনে ঘুরে ঘুরে

অপহৃত উদ্ধারসহ গ্রেফতার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে চার বছরের শিশু সালমানকে অপহরণের পর ট্রেনে ঘুরিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে। মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকায় রফা-দফাও হয়। তবে র‌্যাবের কৌশলের কাছে পরাজিত হয় অপহরণকারী চক্রটি। অবশেষে অপহরণের দুই দিনের মাথায় অপহৃত শিশু সালমানকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১০ এর একটি দল। গতকাল কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা শাফায়েত হোসেন আবির ও আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় আরও দুজনের নাম পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, শাফায়েত ও আল আমিন ভিকটিম সালমানের পাশের বাসার ভাড়াটিয়া। তিন মাস আগে ভিকটিমকে তাদের বাসার সামনে খেলাধুলা করার সময় অপহরণের পরিকল্পনা করে এবং ভিকটিমের বাবা মওলানা ইমদাদুল্লা হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করার সময়টাকে তারা বেছে নেয়। ১৫ জুলাই মমিনবাগ এলাকা থেকে ট্রেন দেখানোর কথা বলে সালমানকে নিয়ে চট্টগ্রাম যায় তিন অপহরণকারী। পরের দিন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অপহৃতের পরিবারকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। পরে সালমানের পরিবার স্থানীয় থানা পুলিশ ও র‌্যাব-১০ কে অবহিত করে। সোমবার রাতে র‌্যাব-৭ ও ১০ এর একটি দল চট্টগ্রামের সদরঘাট আইস ফ্যাক্টরি রোড এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সালমানকে অপহরণের পর চট্টগ্রামে নিয়ে হেলালের পরিচিত আইয়ুবের বাসায় আটক রাখা হয়। পরবর্তীতে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অপহরণের কথা জানায়। এ সময় ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ভিকটিমের পরিবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের ৫ হাজার টাকা দেয়।

একপর্যায়ে অপহরণকারীরা ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সালমানকে ফেরত দিতে রাজি হয়। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় যেতে বলে। অপহরণকারীদের কথা মতো ভিকটিমের পরিবার তাদেরকে আশ্বস্ত করে, তারা মুক্তিপণের টাকা নিয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছে এবং ভিকটিমের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়।

র‌্যাব মুখপাত্র আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা সালমানকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনযোগে ঢাকা-ফেনী-চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। এক জায়গায় বসে মুক্তিপণ চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সহজে শনাক্ত করে ফেলবে এমনটা ধারণা ছিল তাদের। অপহরণকারী শাফায়েত ও আল আমিন ভিকটিমকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে আইয়ুবের কাছে রেখে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় যায়। পরে র‌্যাব তাদের গ্রেফতার করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর