বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
ইবিতে ফুলপরী নির্যাতন

পাঁচ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার প্রক্রিয়া জানতে চান হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনে জড়িত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে কোন প্রক্রিয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাই কোর্ট। আগামী ২৬ জুলাই লিখিত আকারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে রিটকারী আইনজীবীকেও তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে দাখিল করতে বলেছেন আদালত। গতকাল বহিষ্কার আদেশ উপস্থাপনের পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। নির্যাতনে জড়িত ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের তথ্য গতকাল হাই কোর্টকে জানায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল। সঙ্গে ছিলেন মোল্লা জীবন আহমেদ। রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মহসিন বলছেন, এ বহিষ্কার আদেশে বিধিসম্মত হয়নি। আইনগত ত্রুটি আছে। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল বলেন, পাঁচ শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আইন ও বিধিসম্মতভাবেই হয়েছে। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তিই দেওয়া হয়েছে। এরপর তাদের কোন প্রক্রিয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে তা লিখিতভাবে জানতে বলেছেন আদালত।

ফুলপরীকে নির্যাতনে জড়িত ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে গত ১৫ জুলাই এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় জানানো হয়, বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ কোনো কিছুতেই অংশ নিতে পারবেন না।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর