শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় টার্গেট ১০ লাখ মানুষ

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শোডাউনের প্রস্তুতি

নজরুল মৃধা, রংপুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ আগস্ট রংপুরে আসছেন। এ উপলক্ষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই দিন ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জনসভা সফল করতে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের বিভাগীয় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় চার মন্ত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জনসভা করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। এর পরে তিনি রংপুরে আসেননি। সাড়ে চার বছরের বেশি সময় পর শেখ হাসিনা রংপুরে আসছেন। তিনি দ্বাদশ নির্বাচনের প্রচারণা রংপুর থেকে শুরু করবেন। তাই রংপুরবাসী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। এদিকে রংপুর বিভাগে ৩৩টি সংসদীয় আসন রয়েছে। রংপুরে ছয়টি সংসদীয় আসন রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া আসনটি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির দখলে রয়েছে।  জোটগত কৌশলের কারণে ওই দুটি আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার ওই দুটি আসন ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাদের দাবি, এবার রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিতে হবে। মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক নেতা এবার ওই দুটি আসনে মনোনয়ন চাইবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এ ছাড়াও অন্য চারটি আসন আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও সেখানে ১০/১২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর জনসভার দিন নিজ নিজ এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এনে শোডাউন দেবেন। জনসভাকে সমৃদ্ধ আর বিপুল জনগণের উপস্থিতি নিশ্চিতে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মুখিয়ে আছেন। এমনটা আভাস পাওয়া গেছে দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে। বর্তমান সরকারের আমলে রংপুরের যে সব উন্নয়ন হয়েছে এসবও জনগণের কাছে তুলে ধরছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে রংপুর বিভাগ, সিটি করপোরেশন হয়েছে। এ বছরের ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর বিভাগীয় সদর দফতরের উদ্বোধন করেছেন।  এ ছাড়া রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিন একাডেমি, মেট্রোপলিটন পুলিশ, উপজেলাগুলোতে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, তিস্তা সেতুসহ নানা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে। এলেঙ্গা-রংপুর ছয় লেন মহাসড়কের কাজ চলমান। পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এসব উন্নয়নের ফিরিস্তি জনগণের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে বলে দলের একাধিক নেতা জানান।  

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গঙ্গাচড়া আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। তার আমলে রংপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের কারণে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুরের মানুষ আওয়ামী লীগকে বিমুখ করবে না বলে তিনি মনে করেন। সদর আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মহানগর আওয়মী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল বলেন,  নেতা-কর্মীরা চাচ্ছেন এবার সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়া হোক।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর