যুক্তরাষ্ট্রে নিহত শিক্ষার্থী ইয়াজউদ্দিন আহমেদের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ১৮ জুলাই রাতে ডাকাতের গুলিতে আমার ছোট ভাই ইয়াজউদ্দিন রমিম নিহত হয়েছে। এরপর পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে। সে হ্যান্ডকাফ অবস্থায় পুলিশ কাস্টডি থেকে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় আমরা সুষ্ঠু বিচার নিয়ে সন্দিহান। আমরা বাইডেন প্রশাসন, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য অনুরোধ করছি। একজন বাংলাদেশি ছাত্র কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ডাকাতের গুলিতে নিহত হয় এমন প্রশ্ন রাখেন রিয়াজ। গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে যুক্তরাষ্ট্রে ডাকাতের গুলিতে নিহত ইয়াজউদ্দিন আহমেদ রমিম হত্যার বিচার দাবিতে আমরা চট্টগ্রামবাসী আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। এতে সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্য, সংস্কৃতিকর্মী ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা ফেস্টুনসহ অংশ নেন।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, কথায় কথায় যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশকে নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায়। বিশ্বমানবতার উচিত যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের জন্য তাদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা। সেখানে মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। নেই মানবাধিকার। অথচ তারা বাংলাদেশে এসে মানবাধিকারের কথা বলে। পুলিশের গুলিতে প্রতিদিন গড়ে তিনজন মারা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। সেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আগে তাদের নিজেদের দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। সংগঠক ইয়াসির আরাফাতের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি কবি অনিন্দ্য টিটো, যুবনেতা শোয়েব ইসলাম, মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, শৈবাল দাশ, সাদ্দাম হোসেন, মো. আরাফাত হোসেন, মো. রাশেদ, মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ।