রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
কৃষি প্রযুক্তি

জৈব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই উৎপাদন হচ্ছে

শেকৃবি প্রতিনিধি

জৈব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই উৎপাদন হচ্ছে

সম্প্রতি দেশে মাছ ও মুরগির খাবারের (ফিড) মূল্য বাড়ায় বেড়ে চলেছে মুরগির মাংস এবং মাছের দাম। এদিকে জৈব বর্জ্য ব্যবহার করে ফিড তৈরি করলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হবে। অন্যদিকে মানুষের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছ ও মুরগির মাংসের দাম কমবে। এ ধারণা সামনে রেখে নেদারল্যান্ডস সরকারের অর্থায়নে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং ওয়াগেনিংয়েন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চের কারিগরি সহায়তায় ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই এর লার্ভা উৎপাদন এবং প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ-মুরগির খাবারে লার্ভার ব্যবহার’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। শেকৃবির অ্যানিমেল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স অ্যান্ড ব্রিডিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন, কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ও মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রফেসর ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম গবেষণা প্রকল্পটির কী পার্সন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি অনুষদের সেমিনার কক্ষে গতকাল এ প্রকল্পটির অধীনে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই উৎপাদন সম্পর্কে আলোচনা করেন। শেকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, এফএও প্রতিনিধি পেড্রো এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ফিড মিলের বিভিন্ন ব্যক্তি এতে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে বক্তারা বলেন, নগরের কাঁচাবাজার, বাসা-বাড়ি, মেস ও হোটেল থেকে আসা বর্জ্যরে একটি বড় অংশ রাস্তার ওপর বা রাস্তার পাশে অননুমোদিতভাবে গড়ে ওঠা ডাস্টবিনে পড়ে থাকে। শুধু ঢাকা শহরেই প্রতিদিন প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। যার ৭০ ভাগই খাদ্য সম্পর্কিত ও কৃষিপণ্যজাত বর্জ্য অর্থাৎ জৈব বর্জ্য। ঢাকায় এ বর্জ্যরে প্রায় অর্ধেকই ফেলা হচ্ছে ল্যান্ডফিলে। বাকিটা ব্যবস্থাপনার বাইরে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটিতে কোনো ল্যান্ডফিল না থাকায় পুরো বর্জ্যই যাচ্ছে সড়কের দুই পাশে, নদী ও খালে। এসব জৈব বর্জ্যরে প্রায় ৮০ ভাগই পুনঃচক্রায়নযোগ্য। এসব বর্জ্যরে সঠিক ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই এর লার্ভার মূল্য প্রচলিত খাদ্যের চেয়ে ১৫ থেকে ১৭ টাকা কমানো যায়। বর্তমানে পোলট্রি ও ফিশ ফিডের জন্য প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সয়াবিন আমদানিতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার খরচ হয়। অথচ ফিডের জন্য বাণিজ্যিক পর্যায়ে দেশেই ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাইয়ের শুকনো লার্ভা উৎপাদনে সবাই এগিয়ে এলে ফিড তৈরিতে বিদেশ নির্ভরতা যেমন বহুলাংশে কমবে, লাভজনক হবে পোলট্রি ও মৎস্য শিল্প, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আসবে শৃঙ্খলা।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর