রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর কাছে বন্ধ চিনিকলগুলো চালুর দাবি জানাবেন রংপুরবাসী

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুরে আগামী ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে অনেকেই অনেক কিছু প্রত্যাশা করছেন। তার মধ্যে স্থানীয়দের অন্যতম দাবি হচ্ছে রংপুরের একমাত্র ভারী শিল্প হিসেবে পরিচিত শ্যামপুর সুগার মিলসহ পঞ্চগড়, সেতাবগঞ্জ, রংপুর, পাবনা ও কুষ্টিয়া সুগার মিল পুনরায় চালু করার। অনেকেই ভাবছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানালে হয়তো বন্ধ চিনিকলগুলো পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

জানা গেছে, ২০২০ সালে ৬টি চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ৬০ হাজার আখচাষি, ১০ হাজার শ্রমিক ও ২ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছেন। তখন চিনিকলগুলো যাতে বন্ধ না হয় এ জন্য মিলগেটে আন্দোলন করা হলেও সরকারের সিদ্ধান্ত বদলানো যায়নি। চিনিকল এলাকার আখচাষিসহ সংশ্লিষ্টরা এখন চেয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। তাদের প্রত্যাশা- প্রধানমন্ত্রী বন্ধ সুগার মিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। এদিকে শ্যামপুর চিনিকল এলাকার চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে আগে ৭ হাজার একরের বেশি জমিতে আখ আবাদ হতো। এখন ১০ একর জমিতেও আখ নেই। দু-একজন গুড় তৈরির জন্য আখের আবাদ করছেন। একই অবস্থা অন্যান্য চিনিকল এলাকায়ও। জানা গেছে, সরকারি চিনিকলগুলো উৎপাদিত চিনির দাম পড়ে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। ঋণের কারণে সময়মতো আখচাষিদের পাওনা পরিশোধ করতে পারছিল না চিনিকলগুলো। এক পর্যায়ে মিলগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শ্যামপুরের আখচাষি সামছুজ্জামান জানান, মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি এখন জমিতে ধান, ভুট্টা শাক-সবজি আবাদ করছেন। তার মতো শত শত চাষি আখের পরিবর্তে বিকল্প ফসল উৎপাদন করছেন। ফলে বন্ধ হয়ে যাওয়া সুগার মিলগুলোর এলাকায় আখ চাষ অতীত হতে বসেছে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধো আলহাজ মজিবর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন তিনি যেন বন্ধ চিনিকলগুলো চালু করার উদ্যোগ নেন। চিনিকলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ওইসব এলাকার মানুষজনের জীবনযাত্রায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। 

বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রংপুর সফরের সময় বন্ধ চিনিকলগুলো চালুর ঘোষণার দাবি তোলা হবে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর