শিরোনাম
সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাতিরঝিল দিয়ে যাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

কাটল জটিলতা 

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাতিরঝিল দিয়ে যাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২০২০ সালের নকশাতেই বাকি নির্মাণকাজ হবে। গতকাল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ১৬তম সভায় সেবা সংস্থা ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের সভায় জটিলতার নিরসন হয়। গত ৮ মে সমন্বয় সভায় পান্থকুঞ্জসহ কয়েকটি স্থানে র‌্যাম্প ও পিলার নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আপত্তির কারণে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ থমকে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নকশা অনুযায়ী হবে। এখন সব বাধা দূর হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নকশা অনুযায়ী কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর গতকালের সভায় অন্য বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেলে হাতিরঝিলে সৌন্দর্যবর্ধনে কিছু কাজ করা হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার  দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। তবে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতার এই প্রকল্পে    সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকিটা দেবে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (৫১ শতাংশ), চায়না শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড  টেকনিক্যাল গ্রুপ (৩৪ শতাংশ) ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন (১৫ শতাংশ)।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেবা সংস্থাসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের সভা হয়। সভায় এক্সপ্রেসওয়ের দ্বিতীয় অংশের বিস্তারিত নকশা তুলে ধরেন স্থপতি ইকবাল হাবিব ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক এম শামসুল হক। তাঁরা ২০২০ সালের নকশা অনুযায়ী নির্মাণকাজ করার পক্ষে মত দেন। সভায় জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিন ৮ হাজার ডলার পরিশোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন। জলাধার যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে নজর দিতেও নির্দেশ দেন।

নকশায় দেখা যায়, এফডিসিসংলগ্ন রেলক্রসিং হয়ে পান্থকুঞ্জ পার্কে, হাতিরপুল হয়ে পলাশীতে এবং হাতিরঝিলে এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প (ওঠানামার পথ) নামবে। গত ৮ মে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ১৭তম সভায় এসব র‌্যাম্প ও পিলার বসানো নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ডিএসসিসি বলেছিল, এতে পান্থকুঞ্জ পার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং পলাশীতে যানবাহনের চাপ বহু গুণ বাড়বে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওই সভায় এসব আপত্তির কোনো সুরাহা হয়নি। এর আগে ২২ জানুয়ারি সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়ও পান্থকুঞ্জ পার্কে র‌্যাম্প নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছিলেন ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ওই সভায় রাজউক জানিয়েছিল, এক্সপ্রেসওয়ের প্রায় ৪১টি খুঁটি হাতিরঝিল লেকে পড়বে। এতে লেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর