মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইসির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি এবি পার্টি ও মাইনরিটি জনতা পার্টির

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে দল দুটির নেতারা আলাদা আলাদাভাবে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগ্রহী দলগুলোর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে থাকা ১০টি দল টিকেনি। তবে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) নামে দুটি দল নিবন্ধন দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বুধবার পর্যন্ত আপত্তি আবেদন নিচ্ছে ইসি। এবি পার্টি ইসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও নিবন্ধন দেওয়ার জন্য গতকাল ইসি সচিবের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে।

দলটির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ন্যায়বিচার পাব। আমাদের যে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি, এটা অন্যায় হয়েছে; তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এখন সিইসিকে অনুরোধ করছি, আমাদের নিবন্ধন দিন।  সব শর্ত পূরণ করেছে দাবি করে এবি পার্টি সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ইসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পুনঃতদন্তে গঠিত ইসির কমিটি আমাদের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে, আমরা নিবন্ধনের বিবেচিত দল হিসেবে প্রতিবেদন দিয়েছি। কিন্তু নিবন্ধন না দিয়ে বড় অন্যায় হয়েছে। ইসিকে বলতে চাই- নিবন্ধন প্রক্রিয়াটা প্রহসনে পরিণত করবেন না। অন্তত আইন, বিধান, নৈতিকতা মেনে চলুন। নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করুন, পুনর্বিবেচনা করুন। যোগ্য দলগুলোকে নিবন্ধন দিন।

বিএসপি ও বিএনএমকে নিবন্ধন দেওয়ায় ইসির কঠোর সমালোচনা করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক। সিইসিকে উদ্দেশ্য করে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, আপনারা লোকজন লাগিয়ে মাটি খুঁড়ে মানুষের ছোটখাটো অন্যায় খুঁজে বের করছেন। কিন্তু যে দলকে নিবন্ধন দিলেন তাদের বিশাল বিশাল ত্রুটি, তাদের কোনো বাস্তবতা নেই। আপনাদের কোথায় সেই বিবেকবোধ।

অন্যদিকে নিবন্ধন পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করেছে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)। পরে বিএমজেপি সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, জেলা ও উপজেলা কমিটি সব সঠিক রয়েছে। নিবন্ধন সম্পর্কিত বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন। দেশের নিপীড়িত মানুষের কথা রাজনৈতিকভাবে তুলে ধরার জন্য দলটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী এ দলের দিকে তাকিয়ে আছে। ‘তাদের একটি কথা বলার জায়গা হবে এটা আশা করে। তাদের সেই চাওয়াকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। এটা বিশ্বাস করতে চাই যে, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হয়ে এ দলের মর্মকথা বুঝতে সমর্থ হবে। ইসি সদয় ছিল বলে দুটি দল নিবন্ধন পেয়েছে। যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের প্রতিও সদয় হতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর