বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্যস্ত রংপুর আওয়ামী লীগ

২ আগস্ট আসছেন প্রধানমন্ত্রী, জনসভার মঞ্চ তৈরি শুরু, বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ আগস্ট রংপুর আসছেন। তাঁর আগমন ঘিরে রংপুরে চলছে আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, বর্ধিত সভা ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ। জিলা স্কুল মাঠে চলছে জনসভার মঞ্চ তৈরির কাজ। স্কুলের আশপাশ এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সদাব্যস্ত নেতা-কর্মীদের নাওয়াখাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরও তৎপর। দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় জনসমাবেশ করছে আহ্বায়ক কমিটি। তাই অনেকে মনে করেন, জেলা ও মহানগর আহ্বায়কদের এটি একটি অগ্নিপরীক্ষা। সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে মহাসমাবেশ সফল করতে মিটিং-মিছিল করছেন।

রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কমিটিগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মেট্রোপলিটন এলাকার থানা কমিটিও বেশ সরব। তারা জোর গণসংযোগ চালাচ্ছে মহল্লায় মহল্লায়। নেতা-কর্মীরা জিলা স্কুলের মাঠকে ২ আগস্ট জনসমুদ্রে পরিণত করার জন্য বদ্ধপরিকর। শুধু দলীয় নেতা-কর্মীই নয়, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও মাঠে নেমেছেন। তারাও ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় কোনো প্রার্থী ঘোষণা হবে না বলেই একাধিক নেতার ধারণা।

রংপুরের জেলা ও মহানগর কমিটি চলছে আহ্বায়ক দিয়ে। অনেকে বলাবলি করছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করা আহ্বায়কদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চললেও কমিটিতে কখনো দল করেননি এমন লোকজনসহ বিএনপি সমর্থিত লোকজনকেও স্থান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সামনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচন সামনে রেখে দলকে সংগঠিত করার বিকল্প নেই। তাই সাধারণ নেতা-কর্মীরা দ্রুত সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ দিয়ে চলেছেন। নেতা-কর্মীদের একটি পক্ষ মনে করেন, নির্বাচনের আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা না গেলে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। ঐক্য না থাকার কারণে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামানত হারান আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এরপর কেন্দ্র থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন আহ্বায়ক করা হয় মহানগরে ডা. দেলোয়ার হোসেনকে এবং জেলায় এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুলকে। জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবলু এবং মহানগরে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় আবুল কাশেমকে।

গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ১০১ সদস্যের জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। নেতা-কর্মীরা মনে করছেন রংপুরের মহানগর, মিঠাপুকুর, কাউনিয়াসহ অনেক স্থানে আওয়ামী লীগের গ্রুপিং প্রকাশ্য। তবে অধিকাংশ নেতা-কর্মীর বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে দীর্ঘদিনের দলীয় কোন্দলের অবসান ঘটবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর