বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

চাহিদার তুলনায় বেশি মাছ উৎপাদন খুলনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

চাহিদার তুলনায় বেশি মাছ উৎপাদন খুলনায়

২০২২-২৩ অর্থবছরে খুলনা জেলায় মাছ উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৭৫০ মেট্রিকটন। যা জেলার চাহিদার চেয়ে ৬৪ হাজার ৫৪৫ মেট্রিকটন বেশি। একইসময় ২৫ হাজার ৩৭৫ মেট্রিকটন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে খুলনা অঞ্চল থেকে ২৮ হাজার ৩১৬ মেট্রিকটন মৎস্য পণ্য রপ্তানি হয়। যার বাজার মূল্য ২ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। ওই সময় বিভিন্ন নদী থেকে ২ হাজার ২৬৮ মেট্রিকটন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে। গতকাল খুলনায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, সাগরে ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে খুলনার সাতটি উপজেলার ২৩ হাজার ৮০ জন জেলের মধ্যে ১ হাজার ২৯২.৪৮ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়। করোনাকালে ৯ হাজার ৮৫৮ জন মৎস্য চাষিকে ১৪ কোটি ২০ লাখ ১৩ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। তিনি বলেন, সম্প্রতি জেলায় ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার হেক্টর প্রতি উৎপাদন প্রায় ১০ মেট্রিকটন। এতে চিংড়ি রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেন, অন্যান্য চিংড়ির পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ি চাষে দেশে সফলতা এসেছে। বিদেশি প্রজাতির মাছ চাষের পাশাপাশি দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি উন্মুক্ত জলাশয়কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের উপযোগী করে তুলতে পারলে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। মাছে অপদ্রব্য মেশানো থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। যারা মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশায় তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদফতরের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহমদ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর