বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে লোডশেডিংয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস

বৃষ্টি না নামলে পরিস্থিতির উন্নতি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। চলতি সপ্তাহে দাবদাহে কাহিল জনজীবন। ফলে বিদ্যুতের ব্যবহারও বেড়েছে কয়েক গুণ। তবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন না হওয়ায় দেখা দিয়েছে সংকট। ফলে চট্টগ্রাম নগরে ফের কয়েক ঘণ্টা পরপর করতে হচ্ছে লোডশেডিং। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃষ্টিপাত হলেই লোডশেডিং কমে যাবে। পিডিবিসূত্র জানান, চট্টগ্রামে এখন দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৫৫০ থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। দাবদাহ বাড়লে চাহিদাও বেড়ে যায়। কিন্তু চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদন করছে ১২০০ থেকে ১৩০০ মেগাওয়াট। ফলে দৈনিক প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে। রবিবার চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫৬২ মেগাওয়াট। উৎপাদন হয়েছে ১২৬২ মেগাওয়াট। এদিন বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে লোডশেডিং করতে হয়েছে প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট। সোমবার চাহিদা ছিল ১৪৫৬ মেগাওয়াট আর উৎপাদন হয়েছে ১৪৫৬ মেগাওয়াট। এদিন লোডশেডিং ছিল না বলে দাবি করেছে পিডিবি। তবে নগরীর অধিকাংশ এলাকায় সোমবার কয়েক ঘণ্টা পরপর বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে। নগরের বাকলিয়া ওয়াপদা অফিস এলাকায় রাত ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ছিল না বিদ্যুৎ। দিনেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অনেকে ইলেকট্রনিক ফ্যান, ফ্রিজ ও টেলিভিশন বন্ধ রেখেছিল। পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হলে লোডশেডিং করতে হয়; যার কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ লোডশোডিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। আবহাওয়া ঠিক থাকলে উৎপাদনও বাড়ে, চাহিদাও কম থাকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর