বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের ঋণমান পূর্বাভাস নেতিবাচক করল এসঅ্যান্ডপি

প্রতিদিন ডেস্ক

বাংলাদেশের দীর্ঘ মেয়াদে ঋণমান পূর্বাভাস স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক করল আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। সংস্থার মতে, দেশের বাহ্যিক তারল্যের অবস্থা আগামী বছর আরও খারাপ হতে পারে অর্থাৎ বিদেশি মুদ্রায় স্বল্প মেয়াদে যে অর্থ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা আছে, আগামী বছর সে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে; কারণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপের মধ্যে রয়েছে। সেই ঝুঁকি থেকেই ঋণমান এতদিন স্থিতিশীল থাকলেও তা কমিয়ে নেতিবাচক নির্ধারণ করা হয়েছে।

গতকাল এই ঋণমান প্রকাশ করে বৈশ্বিক এই সংস্থা বাংলাদেশের সার্বভৌম ঋণমান দীর্ঘ মেয়াদে ‘বিবি’ ও স্বল্প মেয়াদে ‘বি’ নিশ্চিত করেছে। তবে সতর্ক করে বলেছে, ঋণমান আরও কমতে পারে যদি বৈদেশিক ঋণ বা তারল্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। বলা হয়, ২০২৪-২৬ এই কয় বছরে বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ থেকে ৬.৪ শতাংশ আসতে পারে। জুন ২০২৩ সালে শেষ হওয়া অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৬.০৩ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি বলেছে, ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ সরকার আমদানি করা জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যায়। দেশের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সে কারণে এ সময় দেশের ডলার রিজার্ভ এক-তৃতীয়াংশ কমেছে।

এসঅ্যান্ডপি আরও বলেছে, বাংলাদেশের নিট বিদেশি ঋণ যদি চলতি হিসাবের ভারসাম্যের চেয়ে বেশি হয় বা মোট বিদেশি অর্থায়নের চাহিদা চলতি হিসাবে প্রাপ্য স্থিতি ও ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের চেয়ে বেশি হয় অথবা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বাংলাদেশের ঋণমান আরও কমার চাপে থাকবে। সংস্থা বলেছে, আগামী ১২ মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশের অনুকূল বাণিজ্য ও অর্থপ্রবাহ প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর