বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
রংপুর

প্রধানমন্ত্রীর কাছে যত চাওয়া

নজরুল মৃধা, রংপুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রংপুরের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার ফিরিস্তি দীর্ঘ হচ্ছে। বিভিন্ন দাবি নিয়ে রংপুরের মানুষ মানববন্ধন-সমাবেশ করছেন। স্থানীয়দের প্রত্যাশাগুলোর মধ্যে- খালাসপীরের কয়লা উত্তোলনের ঘোষণা, তিস্তার মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘোষণা, শেখ হাসিনা সেতুর উত্তর পাশে তিস্তায় ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ঘোষণা, সিটিতে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, রংপুরে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণ অন্যতম। গতকাল দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জনসমাবেশস্থল রংপুর জিলা স্কুল মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের মুখে রংপুরবাসীকে আবারো উন্নয়নের সুখবর দেবেন। এ সময় সাংবাদিকরা টিপু মুনশিকে প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দলের পক্ষ থেকে  কোনো চাওয়া আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, চাওয়ার তো অনেক আছে সবচেয়ে বড় চাওয়া হচ্ছে তিস্তার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন। নদীর দুই পাড়ের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ঘোচাতে এটাই সবচেয়ে বড় চাওয়া। এ ছাড়াও গ্যাস যাতে দ্রুত দেওয়া যায়, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্রেইল করা, অর্থনৈতিক জোন করা এবং যে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে তা যাতে দ্রুত শেষ করা হয় ইত্যাদি।

তিনি বলেন, ১১ বছর আগে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রী জনসভায় রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি তা পালনও করেছেন। তিনি আবারো রংপুরে আসছেন, উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব যেহেতু নিয়েছেন আমাদের চাওয়াগুলোও তিনি পূরণ করবেন। উত্তরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনেক কিছুই চাওয়ার আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তা ঘোষণা  দেবেন।

এদিকে নদী নিয়ে যারা আন্দোলন করে আসছেন তারা আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী এই জনসভায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেবেন। ‘তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও’ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি ও সাধারণ সম্পাদক  শফিয়ার রহমান বলেন, তিস্তা পাড়ের মানুষ আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী ২ আগস্ট তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেবেন। আর এ জন্য তিস্তা পাড়ের জনগণ  অধীর অপেক্ষায় বসে আছেন।

গত মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শেখ হাসিনা সেতুর উত্তর পাশে তিস্তায় ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ঘোষণার দাবি জানিয়ে লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে একইদিন ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে রংপুর নগরীর মডার্ন মোড়  থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত ভূমিহীন সংগঠন দ্বিতীয় পদযাত্রা করে। এ ছাড়াও রংপুরে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণসহ নানান দাবি উঠে এসেছে রংপুরের মানুষের কাছ থেকে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। তিনি আগামী ২ আগস্ট রংপুরে আসছেন। সেদিন তিনি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর