ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট এম এ কুদ্দুস সততা ও স্পষ্টবাদিতায় এ প্রজন্মের আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ডিইউজে আয়োজিত এক শোকসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, কার্টুনিস্ট কুদ্দুস যে কত স্বল্পভাষী, কতটা বিনয়ী, সৎ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন সেটা খুব কম মানুষের মাঝেই পাওয়া যায়। সত্যকে সত্য বলা, কালোকে কালো ও সাদাকে সাদা বলার সৎসাহস তার মধ্যে ছিল। তিনি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, কুদ্দুস অত্যন্ত মেধাবী মানুষ ছিলেন। নীতি-আদর্শের প্রতি দৃঢ প্রত্যয়ী ছিলেন। বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মৃত্যুর কয়েক দিন পরই আমরা সবকিছু ভুলে যাই। তাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তা করলে ভালো মানুষ অমর হয়ে যায়। কার্টুনিস্ট কুদ্দুস দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন একটু আলাদা। যা বিশ্বাস করতেন তাই করে দেখাতেন। বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, তিনি শুধু একজন শিল্পীই ছিলেন না, ছিলেন একজন যোগ্য ও সৎ ট্রেড ইউনিয়নিস্ট। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম।