শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী টেকসই

আইসিসিবিতে মেরিনটেক এক্সপো

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রেজেন্টস তিন দিনব্যাপী পঞ্চম আন্তর্জাতিক মেরিনটেক বাংলাদেশ এক্সপো অ্যান্ড ডায়ালগ-২০২৩। আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। গতকাল এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চিটাগাং ড্রাইডকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মো. জিয়াউল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কমডোর (অব.) সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়াডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সভাপতি কবির আহমেদ, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন ও এক্সপোনেট এক্সিবিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক। বক্তারা বলেন, ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। দেশে টেকসই উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে পণ্যের সরবরাহ দ্রুত ও কার্যকর হওয়া আবশ্যক। এই সক্ষমতা অর্জনের জন্য মাল্টিমোডাল হাব (বহুমুখী সংযোগ) স্থাপনের পাশাপাশি সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দরসমূহের আধুনিকায়ন, নৌপথের নাব্যতা সংরক্ষণ, নৌ খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাত্রী ও পণ্য পরিবহন এবং বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব কর্মকান্ড নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে।

যাতে তারা আমাদের সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারে। আশা করছি সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নৌ-বাণিজ্যে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।

এক্সপোনেট এক্সিবিশনের উদ্যোগে ও নৌপরিবহন দফতরের সহযোগিতায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীর পাশাপাশি স্মার্ট পোর্ট, গ্রিন শিপ বিল্ডিং ও রিসাইক্লিং, শিপিং বিসনেস বিয়ন্ড বাউন্ডারি, মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্টেশন ও মেরিটাইম এডুকেশনের ওপর পাঁচটি নেটওয়ার্কিং কনফারেন্স তিন দিনে অনুষ্ঠিত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক নৌ-বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ- ডিজিটালাইজেশন ও ডিকার্বনাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরকে পরিবেশবান্ধব করার লক্ষ্যে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদর্শনীতে জাহাজনির্মাতা-ডকইয়ার্ড ও শিপইয়ার্ড, জাহাজ মালিক ও শিপ এজেন্ট, শিপ রিসাইক্লিং, নকশা প্রণয়নকারী, বন্দর অপারেটর, সিঅ্যান্ডএফ, মেরিটাইম একাডেমি, নাবিক নিয়োগকারী সংস্থা, লঞ্চ ও কোস্টালশিপ, নেভিগেশন ও মেরিন ইকুইপমেন্ট, আমদানি ও রপ্তানিকারকসহ চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সাইফ পাওয়ারটেক গ্রুপ, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড, ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড, চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেড, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম ও রংপুর, আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড শিপওয়েজ লি., বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব লজিস্টিকস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট (সিআইএলটি), বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন, গ্রুপ নটিকা, ঢাকা ওয়াসা ছাড়াও ছয়টি দেশের প্রায় ৭৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

মেলায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ তারেক বলেন, ‘আমরা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছি আমাদের সক্ষমতা দেখানোর জন্য। আমাদের কাজে মানুষকে আগ্রহী করার জন্যই এখানে অংশগ্রহণ করা। মানুষ আমাদের কার্যাবলি সম্পর্কে জানতে পারছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর