শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

উন্নয়ন কাজে সমন্বয়হীনতায় ভোগান্তি

মূল জায়গায় পরিকল্পনা না থাকায় এ সংকট সৃষ্টি

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি নানা সংস্থার উন্নয়ন কাজ চলছে। তবে এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমন্বয়হীনতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা রাস্তা বানাব আর অন্য সংস্থা রাতের আঁধারে রাস্তা কেটে ফেলবে, এভাবে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম গড়া সম্ভব নয়’। তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে বসবাসের উপযোগী রাখতে সরকারি সংস্থাগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে।

অন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে চসিকের আওতাধীন এলাকায় প্রকল্প নিতে হলে অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় নগরীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিল সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার বিষয়টি। চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সহসভাপতি নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, মূল জায়গায় পরিকল্পনা না থাকায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যে যার মতো কাজ করছে, আর দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। নগরে কী সমস্যা আছে, আর সম্ভাবনা আছে, তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। কী করলে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে আসবে তার প্ল্যানিং করতে হবে। এখন যা হচ্ছে তা পরিকল্পনাহীন ও সমন্বয়হীন। চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের সহযোগিতায় মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। প্রায় তিন দশকেও এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার মূল কারণ অপরিকল্পিত উন্নয়ন। নগরে পানি নিষ্কাশন হয় ৫৭টি খালের মাধ্যমে। এর মধ্যে প্রধান ৩৬টি খালের সংস্কার, পুনরুদ্ধার, খনন, দেয়াল নির্মাণ, জোয়ারভাটা নিয়ন্ত্রণে রেগুলেটর স্থাপনের কাজ চলছে। সিডিএ দুটি, পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় বড় প্রকল্প নিলেও সমন্বয়হীনতা, সঠিকভাবে সম্ভাব্যতা যাছাই না করা, দীর্ঘসূত্রতা, মাঝপথে নকশা পরিবর্তন ও প্রকল্পকাজের ধীরগতির কারণে এসব প্রকল্পের সুফল মিলছে না।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর